ক্লাবের ও পুজো কমিটির সম্পাদক নিরেন্দ্র নাথ রায় জানান, “এবারে তাঁদের ক্লাবের পুজোর ৭৫-তম বর্ষে পদার্পণ। তাই এবার থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে তৈরি করা হচ্ছে পুজো মন্ডপ। দীর্ঘ দেড় মাস আগে থেকে এই পুজো মন্ডপ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এই পুজো মন্ডপ সম্পন্ন হবে মহালয়ার একদিন আগে। আনুমানিক মোট পঞ্চাশ লক্ষ টাকার মোট বাজেটের সামান্য বেশি টাকায় এই গোটা থিম সাজানো হচ্ছে। চন্দননগরের আলোকসজ্জা থাকতে চলেছে গোটা এলাকাজুড়ে। এছাড়া বিশেষ আলোকসজ্জা থাকছে পুজো মন্ডপকে কেন্দ্র করেও।”
advertisement
তিনি আরও জানান, “এখনও পর্যন্ত আনুমানিক পাঁচ হাজারের বেশি বাঁশ ব্যবহার করা গিয়েছে মন্ডপ নির্মাণে। এছাড়া মন্ডপ সাজাতে ব্যবহার করা হচ্ছে মার্কিন কাপড় এবং প্লাস্টার অফ প্যারিস এর বিভিন্ন মূর্তি।” ক্লাবের এক সদস্য প্রভাত বিশ্বাস জানান, “প্রতি বছরের পুজোয় নিত্যনতুন আকর্ষণ তাঁরা নিয়ে আসেন সকলের জন্য। এবারেও সেই বিষয়ে অন্যথায় হয়নি। এবারের থিম হয়তো সকল দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের অনেকটাই পছন্দ হবে এমনটাই আশা রাখছেন তাঁরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাজেট কিছুটা বাড়ানো হয়েছে পুজোতে। তবে সকলের সামর্থ্যের বিষয়ে খেয়াল রাখা হচ্ছে।”
জেলায় এবার বিগ বাজেটের পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠতে চলেছে টাকাগাছ ক্লাবের এই পুজো। ইতিমধ্যেই জেলার মানুষের কাছে এক নতুন আকর্ষণ তৈরি হয়েছে এই বিশেষ পুজো মন্ডপের থিমকে ঘিরে। দুর্গা পুজোর দ্বিতীয় থেকে এই পুজো মন্ডপ সকলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা চলছে। তবে জেলার বাইরের মানুষদের জন্য এই পুজো মন্ডপ ঘুরে দেখার তালিকায় রাখতেই পারেন।
Sarthak Pandit





