বসু বাড়িয়ে পুজোর সূচনা হওয়ার পর পেরিয়ে গিয়েছে দীর্ঘ অনেকটা সময়। কিন্তু, প্রথম বছরের পর আর কাগজের মূর্তি তৈরি হয়নি। তখন থেকেই বসু বাড়িতে তৈরি হতে শুরু করে একচালা সাবেকি দুর্গা প্রতিমা। সিদ্ধার্থ বসু জানান, ”এমনিতেই তাঁকে বাইরে থাকতে হয় পড়াশোনার সূত্রে। তার ওপরে আবার পুজোর মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি। খুবই ব্যস্ততা চলছে মূর্তি তৈরির। দিনের প্রায় বেশিরভাগ সময়ই মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাঁকে। প্রতিমা মূলত তিনি তৈরি করলেও। তাঁর বাবাও যথেষ্ট সাহায্য করেন তাঁকে এই বিষয়ে। প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি, তিনি নিজেই এই দুর্গাপুজো করে থাকেন। এই পুজোকে কেন্দ্র করে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে পাড়া-প্রতিবেশী সবাই খুব আনন্দিত থাকেন।
advertisement
সিদ্ধার্থের বাবা চিন্ময় বসু জানান, “সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন তাঁদের বাড়ির দুর্গাপুজোর জন্য। রথের মেলার সময়ে দুর্গা মূর্তির কাঠামোতে মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়। তখন থেকেই বাড়ির সবার মধ্যে ব্যস্ততা শুর হয়ে যায়। তারপর মাস দু’য়েক ধরে চলে প্রতিমা তৈরির কাজ। পুজোর চারদিন পর যখন প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। তখন সকলের মনেই দারুণ কষ্ট হয়।” তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই নিয়ম মেনেই পুজো হচ্ছে তাঁদের বাড়িতে। কোনওদিন চিন্তা করা হয়নি স্থায়ী মূর্তি নির্মাণের। বাড়ির দুর্গা প্রতিমা নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে বেশ অনেকটাই আনন্দিত হয় পরিবারের সকলে। আগামী দিনেও এই পুজো এভাবেই চলবে বলেই জানান বসু পরিবারের মানুষেরা।
Sarthak Pandit





