আরও পড়ুন: পুজোর মুখে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে সমস্যায় ছোট ব্যবসায়ীরা! ব্যাপক ক্ষতি কেনাবেচায়
মাদক তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাথমিক পর্যায়ে জানতে পেরেছে কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগরেই রয়েছে মাদক তৈরির দক্ষ কারিগর। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাদক তৈরির কাঁচামাল নিয়ে আসা হচ্ছে। তারপর এখানেই দক্ষ কারিগরেরা মাদক প্রস্তুত করছে। এমনকি নবাগতদের এখানেই মাদক তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ব্রাউন সুগার তৈরির পাশাপাশি গোপন ডেরাগুলিতে চলছে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর থানার কিছু গোপন ডেরায় চলছে এই মাদক তৈরীর কারখানাগুলি।
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্যোগের কোপ! ঝড়জলে ভাসবে উত্তর! তালিকায় কোন কোন জেলা, হাওয়া অফিসের বড় আপডেট
গত প্রায় এক মাসে একাধিক মাদক তৈরির কারখানার হদিস পেয়েছে পুলিশ। সেই ঘটনাগুলির তদন্তে নেমে অনান্য কারখানার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। মালদহ জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় কারখানার হদিস পাওয়া যাচ্ছে। এখানেই কিছু লোক রয়েছে যারা মাদক তৈরি করছে। এমনকি অন্যান্যদের তারা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। মাদক তৈরীর কাঁচামাল বাইরে থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। তদন্তে এমনটাই উঠে আসছে। মালদহ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাসে মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১৫ কেজি ব্রাউন সুগার উদ্ধার হয়েছে।
এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে ১৬ জনকে। উদ্ধার গ্রাম সুগার গুলির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মূলত কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় মাদকবিরোধী সচেতনতা শিবির করা হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রামীন এলাকা থেকে শুরু করে স্কুল গুলির মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
হরষিত সিংহ