কোচবিহারের ইতিহাস অনুসন্ধানী সুবীর সরকার জানান, “১৯২০ সালের ৭ই নভেম্বর দার্জিলিংয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে মাত্র ৩০ বছর বয়সে মৃত্যু হয় প্রিন্স হিতেন্দ্র নারায়ণের। তখন কোচবিহারের রাজা ছিলেন জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদুর। পরবর্তী সময়ে ১৯৪০ সালে জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদুর নিজের কাকার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই পার্ক স্থাপন করেন। তখন থেকে এই পার্ক হিতেন্দ্র নারায়ণ পার্ক নামেই সকলের কাছে পরিচিত ছিল। তবে বর্তমান সময়ে ধীরে ধীরে এই পার্কটি সকলের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে গোলবাগান নামে।”
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
তিনি আরও জানান, “প্রিন্স হিতেন্দ্র নারায়ণ যেমনি ক্রীড়াপ্রেমী ছিলেন, তেমনি একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদও ছিলেন। জেলার ক্রীড়াচর্চার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এই রাজকুমার। তবে একেবারেই স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি মারা যান। তাইতো জেলার এই অন্যতম রাজকুমারের সম্পর্কে জেলার মানুষের আরও বিস্তারিত জানা উচিত। যদিও এই পার্ক তাঁর স্মৃতি বহন করে। তবুও এই পার্কের সঠিক সংরক্ষণ কিংবা রক্ষণাবেক্ষণ আজ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। তাই অবিলম্বে এই পার্কের সংরক্ষণ করা উচিত জেলা প্রশাসনের। না হলে দীর্ঘ সময়ের ইতিহাস ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাবে।”
জেলার অন্যতম এই ঐতিহাসিক নিদর্শন বর্তমান সময়ে বহু মানুষের কাছে কৌতূহলের বিষয়। সদর শহরের কেন্দ্রবিন্দু থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে অবস্থিত এই হিতেন্দ্র নারায়ণ পার্ক দ্রুত সংরক্ষণ করা উচিত সরকারি উদ্যোগে। এছাড়া কোচবিহারের রাজকুমার হিতেন্দ্র নারায়ণের সম্পর্কে পার্কের ভেতর বেশকিছু তথ্য দেওয়া উচিত। যাতে জেলার বাইরের পর্যটক কেডা সেই সম্পর্কের জানতে পারেন সহজে।
Sarthak Pandit





