স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ দিন বিকেলে তাঁরা দেখেন এক যুবক এবং যুবতী রেললাইনে মাথা দেওয়ার চেষ্টা করছেন ৷ তাঁরা ছুটে যান এবং তাঁদের উদ্ধার করেন। কয়েক মিনিট ব্যবধানে সেখান দিয়ে যায় উত্তরবঙ্গ এক্সেপ্রেস । এর পর তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেয় এলাকাবাসীরা । প্রেমিকার দাবি, তাঁদের মধ্যে পাঁচ বছর ধরে সম্পর্ক ৷ কিন্তু উভয়ের বাড়ির লোকজন মানতে নারাজ ৷ তাই তাঁরা এ দিন ধূপগুড়ি স্কুলের সামনে দেখা করে তার পর এই সিদ্ধান্ত নেন।
advertisement
আরও পড়ুন : বাহারি গাছের ছাদ বাগান বানিয়ে চমক মালদহের প্রকৃতিপ্রেমী সেন্টু খানের
উদ্ধারকারী স্থানীয় বাসিন্দা প্রসেনজিৎ বসাক জানান, ‘‘ আমরা সকলেই পাড়ায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম । আচমকাই দেখি একটা ছেলে আর মেয়ে রেললাইনের ধারে বসে রয়েছেন । ট্রেন যখন লাইনে আসছিল, হঠাৎ তাঁরা দাঁড়িয়ে পড়েন৷ দেখে মনে হল তাঁরা আত্মহত্যা করতে চাইছেন। ঠিক যখন ট্রেন ওই লাইনে আসছিল, তাঁরা ঝাঁপ দেওয়ার মতো প্রস্তুতি নেয়, তখনই আমরা দৌড়ে গিয়ে তাঁদের ধরে ফেলি। ছেলেটি আত্মহত্যা করতে চাইছিলেন না, মেয়েটিকে বোঝাচ্ছিলেন কিন্তু মেয়েটি আত্মহত্যা করবেন বলে ঠিক করে এসেছিলেন সেটা তাঁর কথা থেকে পরিষ্কার।’’
আরও পড়ুন : মুখ ফিরিয়েছে নতুন প্রজন্ম, গ্রীষ্মে আর কত দিন থাকবে শীতলপাটির স্নেহস্পর্শ?
প্রেমিক যুবক বলেন, ‘‘আমরা দুজন একে অপরকে ভালবাসি, বিয়ে করতে চাই কিন্তু আমার বান্ধবী এখনও নাবালিকা ৷ তাই বলেছি ধৈর্য ধরতে । কিন্তু বাসনা তা মানতে নারাজ, আর বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে । সেই কারণে রেললাইনের ধারে গিয়েছিল । গ্রামবাসীরা আমাদের আটকে দেয় ।’’
তাঁর প্রেমিকা বলেন, ‘‘আমাদের পাঁচ বছরের প্রেমের সম্পর্ক । পরিবারের লোকেরা আমাদের সম্পর্ক মানবে না, তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ।’’
( প্রতিবেদন : রকি চৌধুরী)