সেই পুজোই এখন গ্রামের সর্বজনীন পুজো হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ধনলক্ষ্মী পুজো হলেও রাম লক্ষণ সীতার মূর্তি আর মূল মূর্তির দু’পাশে লব, কুশ ও হনুমান প্রতিমা পূজিত হয়। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে জানা যায়, কৃষিভিত্তিক এই গ্রামে এক সময় অনটন, দুর্ভিক্ষ ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। সেখান থেকেই মুক্তি পেতে পূর্বপুরুষেরা কোনও এক সময় এই ধনলক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়ির মণ্ডপে এবার রাজস্থান! আলোর রোশনাই দেখতে ভিড় দর্শনার্থীদের
যে রীতি রেওয়াজ মেনে এই পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল সেই রীতি আজও মেনে চলা হয়। প্রতিবার আশ্বিন মাসের সংক্রান্তি তিথিতে এই পুজোর আয়োজন করা হয়। ফলে আলাদা করে দুর্গাপুজোর প্রচলন বালুরঘাটের বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের সরন গ্রামে সেভাবে নেই। গ্রামের বাসিন্দারা পুজোর কদিন ভক্তি ভরে মিলিত হন। এছাড়াও থাকে নিত্যদিন পুজো ও ভোগের ব্যবস্থা। প্রতিদিন রাতে লক্ষ্মী মঙ্গল গান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: আমলকিকে স্বাস্থ্যের উপকারী বন্ধু বলে, রোজ একটা করে খেলে কী হবে জানেন?
তাছাড়া থাকে গ্রামীণ বিভিন্ন লোকসংগীতের আসর। বুধবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া এই পুজো চলবে রবিবার পর্যন্ত। বুধবার বিকেলে গ্রামের মহিলারা নিজের নিজের বাড়ি থেকে পূর্ণ ঘট অর্থাৎ চাল ভর্তি পূর্ণ ঘট নিয়ে আসেন মূল মণ্ডপে।সেখানেই ওই চাল জমা দিয়ে শূন্য ঘট নিয়ে চলে যান নদীতে।সেখান থেকে ঘট ভর্তি করে জল নিয়ে এসে দেবীর আবাহন শুরু হবে। এটাই এই পুজোর রীতি। রবিবার দুপুরে পুজোর সমাপন হবে সেই দিনই গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে পংক্তি ভোজন করবেন। গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করেন ভগবানের আশীর্বাদে আর তাঁদের কোনও আর্থিক সমস্যা নেই। বরং আগের থেকে গ্রাম উন্নত হয়েছে, জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে গ্রামবাসীদের। ফলে আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে ধনলক্ষ্মী পুজোকে কেন্দ্র করে।
সুস্মিতা গোস্বামী