কোচবিহারের রাস, মালদার রামকেলি, জলপাইগুড়ির জল্পেশ, উত্তর দিনাজপুরের স্বামীনাথের মেলার সঙ্গে একই সঙ্গে উচ্চারিত হয় বোল্লা কালীর পুজো ও মেলার নাম। রাস-এর পর উত্তরবঙ্গের অন্যতম দ্বিতীয় বৃহত্তম হল বোল্লা কালীর মেলা। দিনাজপুরের অন্যতম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এই পুজো।
ভক্তদের বিশ্বাস বোল্লা কালী মায়ের পুজো দিতে পারলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। আগত দর্শনার্থীদের পুজো গ্রহণ করার জন্য মোট ৩০ জন পুরোহিত এক নাগারে কাজ করে চলেছেন। পুজোর চার দিনকে কেন্দ্র করে ভক্তদের ব্যাপক হারে ঢল নামে মন্দির প্রাঙ্গনে।
advertisement
এবার সোনা-রুপোর পাশাপাশি হীরের অলঙ্কার দিয়ে সাজানো হয়েছে বোল্লা কালীকে। দেবীর শরীরে প্রায় ১০ কেজি সোনার অলংকার রয়েছে। আর রুপোর অলংকার মিলিয়ে মোট রয়েছে প্রায় ২৩ কেজির গয়না।
আরও পড়ুন- একদিন কেন অফিস কামাই, অস্থায়ী কর্মীকে বাঁশ পেটা সরকারি কর্তার! অভিযোগ মালদহে
ইতিহাসের উজানে পাড়ি দিলে এই পুজো এবং মেলা সম্পর্কে নানা তথ্য উঠে আসে। হীরেন্দ্র নারায়ণ সরকার “শক্তিতত্ত্ব ও বোল্লা শ্রী শ্রী রক্ষাকালী পুজোর ইতিহাস ও মাহাত্ম্য” গ্রন্থে এই পুজো বাণগড়ের বাণরাজার সমসাময়িক বলে উল্লেখ করেছেন।
পুজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন সকলেই মনে করছেন, “এবার রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঘটবে। পুজোকে কেন্দ্র করে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বোল্লা মন্দির চত্বরে। পাশাপাশি ৪০ টি সিসিটিভি লাগানো রয়েছে পুজো প্রাঙ্গণ জুড়ে।”
আরও পড়ুন- দুর্ঘটনায় দমকলের গাড়ি! নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়নাজুলিতে, জখম চালক-সহ দমকল কর্মী
শুক্রবার শুরু হয় এই পুজো, শেষ হয় রবিবার। সুপ্রাচীন এই পুজোয় জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ তথা বিভিন্ন রাজ্য ও প্রতিবেশী দেশ থেকেও প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। শুধু উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা নয়, দক্ষিণবঙ্গ, এমনকি রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন রাজ্য থেকেও পুণ্যার্থীরা আসেন পুজোয় অংশগ্রহণ করার জন্য।
সুস্মিতা গোস্বামী