নব্বইয়ের দশকের পর এই লতা জাতীয় উদ্ভিদ-সহ অন্যান্য বহু কিছুই বন আইনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়। সেই থেকেই জঙ্গলের জলা জায়গায় আপন খেয়ালে বড় বড় গাছ বেয়ে উঠে যাওয়া জঙ্গলী পানের ওপরও বসে নিষেধাজ্ঞার খাড়া।
advertisement
এই জঙ্গলী পাতা তথা পান খেতেন বনবস্তী এলাকার বাসিন্দারা। এমনকি পড়শি দেশ ভূটানেও পাড়ি দিত এই পান। এই পান বিক্রি করে এবং ভূটানে রফতানি করাই ছিল এলাকাবাসীদের প্রধান জীবিকা। পাশাপাশি গরুমারা জাতীয় পার্কের এক প্রাক্তণ কর্মীর কথায়, আগে জঙ্গলে ডিউটি করতে যাওয়ার সময় বাড়ি থেকে শুধু চুন আর সুপারি নিয়েই রওনা হতেন তিনি।
তবে এখন জঙ্গল থেকে যে কোনও গাছের পাতা কিংবা ডালপালা তুলে আনাও বেআইনি। তাই জঙ্গলী পানের স্বাদ থেকে যেমন বঞ্চিত হতে হচ্ছে বনবস্তিবাসীদের তেমনই জীবিকা নির্বাহেও ভাটা পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে বিকল্প পেশার খোঁজে ছুটতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের। স্বাভাবিকভাবেই ঘন জঙ্গলের অন্যতম ঐতিহ্য জঙ্গলি পানের স্বাদও ভুলতে বসেছে তাঁরা।
সুরজিৎ দে