দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন হেরিটেজ শিরোপা নিয়ে নিজের ইতিহাসকে গৌরবের সঙ্গে ধরে রেখেছে। শুধু পাহাড়ের নয়, গোটা উত্তরবঙ্গের পর্যটন, আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে এই টয়ট্রেনের প্রভাব রয়েছে। টয়ট্রেনের টানেই প্রতি বছর দেশ বিদেশের অগণিত পর্যটক ছুটে আসেন। গড়ে প্রতি বছর ন্যূনতম পাঁচ লক্ষ পর্যটক এই টয়ট্রেনে ভ্রমণ করেন। আর টয়ট্রেনের কারণেই পাহাড়ে পর্যটনে প্রসার ঘটেছে।
advertisement
১৯৯৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ইউনেস্কো ডিএইচআরকে হেরিটেজ শিরোপা প্রদান করে। শুধু তাই না এবছর পুরনো ব্রিটিশ আমলের তিনটি স্টিম ইঞ্জিনের বয়স। হয়েছে ১০০ বছর। যেগুলি আজও চলছে। টয়ট্রেনকে আরও বেশি প্রচারের আলোয় আনতে ২০২০ সাল থেকে ঘুম উৎসবের সূচনা করা হয়েছিল। যেখানে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল এবং টয়ট্রেনের ব্রিটিশ আমলের ইতিহাসকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: কলকাতায় হলুদ ট্যাক্সির দিন কি তবে শেষ! জানুয়ারিতেই অন্তিম যাত্রা? বড় ঘোষণা পরিবহণ মন্ত্রীর
এছাড়াও থাকে স্পেশ্যাল জয়রাইড, সঙ্গে থাকে পাহাড়ের লোকসংস্কৃতির নাচ-গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবছরেও একইভাবে ৩০ নভেম্বর থেকে ওই ফেস্টিভ্যালের সূচনা করা হয়েছে। সেখানে ১০০ বছরেরও বেশি সময় পুরনো ব্রিটিশ আমলের তিনটি স্টিম ইঞ্জিনের ইতিহাসকে তুলে ধরা হবে।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের ডিরেক্টর প্রিয়াংশু বলেন, “ডিএইচআর টয়ট্রেন আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও গর্বের জিনিস। আমরা সবসময় এই হেরিটেজ শিরোপাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে থাকি। সেইসঙ্গে পর্যটকদের জন্য নানা নতুন পরিষেবা রাখা হয়। আগামীতেও এই পরিষেবা যাতে ভাল ভাবে চলে সেদিকে সবসময় রেল কর্তৃপক্ষ তৎপর থাকে।”
ব্রিটিশ আমলের এই গৌরবের ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখতে সর্বদা সচেষ্ট রেল কর্তৃপক্ষ। আগামীতে এই টয়ট্রেনের যাত্রা চলুক আর টয়ট্রেনের টানে বারেবারে ছুটে আসুন পর্যটকরা, এই আশাই রাখছে পর্যটনমহল।
অনির্বাণ রায়