কিন্তু তাতেও পর্যটকদের চাপ আর সামাল দেওয়া যাচ্ছে কই! রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে ধরে নিয়ে ডিএইচআর বাড়তি জয়রাইডের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। পরিস্থিতি বুঝে বাড়তি জয়রাইড চালানো হবে বলে রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ সাতসকালে শিয়ালদহের ট্রেন এ কী সাংঘাতিক কাণ্ড! জানলে ট্রেনে উঠতে ভয় পাবেন
advertisement
দার্জিলিং খবর | Darjeeling News
এ বিষয়ে ডিএইচআরের ডিরেক্টর প্রিয়াংশুর সঙ্গে যখন যোগাযোগ করলে তিনি বললেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। আগেও বাড়তি জয়রাইড চালানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে এবারও চালানো হতে পারে।’ দার্জিলিং পাহাড়ে নানা আকর্ষণের মধ্যে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ দার্জিলিং টয়ট্রেনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গত পর্যটন মরশুমে রেল দার্জিলিং থেকে ঘুম হয়ে দার্জিলিং জয়রাইডের সংখ্যা বাড়িয়েছিল। এরপরও পুজোর সময় পর্যটকদের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়। তা সত্ত্বেও পর্যটকদের অনেকের কপালে জয়রাইডের সুযোগ হয়নি।
এ বছর গরম পড়তে না পড়তেই পর্যটকরা পাহাড়ে আসতে শুরু করায় টয়ট্রেনের চাহিদাও বেড়েছে। ঐতিহ্যবাহী স্টিম ইঞ্জিনের রাইডের চাহিদা সবচাইতে বেশি। ডিএইচআর প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকেই দার্জিলিং থেকে ঘুম জয়রাইড পরিষেবা শুরু করে।
এই মুহূর্তে পাহাড়ে ১০ মিনিট মোট চার জোড়া জয়রাইড চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে চারটি স্টিম এবং চারটি ডিজেল ইঞ্জিনে চলছে। এই রাইডে প্রতিটি ইঞ্জিনের সঙ্গে দুটি করে প্রথম শ্রেণির কামরা জোড়া হচ্ছে। পরিস্থিতি বুঝে ডিজেল ইঞ্জিনের সঙ্গে একটি করে বাড়তি কামরা লাগানো হচ্ছে। এই জয়রাইডগুলি দার্জিলিং থেকে বাতাসিয়া লুপে কিছুক্ষণের জন্যে দাঁড়াচ্ছে। আবার সেখান থেকে ঘুম স্টেশনে যাচ্ছে। সেখান থেকে ঘুরে ফের দার্জিলিং যাচ্ছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত জয়রাইড চালনো হচ্ছে।
প্রতিদিনই প্রতিটি জয় রাইডে পর্যটকদের বুকিং থাকছে। চাহিদা এতটা বেশি যে পর্যটকরা অনেকেই কাউন্টার থেকে টিকিট পাচ্ছেন না।এতটাই বেশি যে পর্যটকদের অনে কাউন্টার থেকে টিকিট পাচ্ছেন না। আগে থেকেই অনলাইনে টিকিট বুক হয়ে যাচ্ছে। আপাতত চার জোড়া ট্রেন চালালেও ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তাই কোনও কোনও সময়ে বাড়তি কামরা লাগিয়ে সামনে এবং পেছনে দুটি ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানো হচ্ছে। কিন্তু এতেও চাপ সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। ডিএইচআর সূত্রে খবর, পর্যটকদের ভিড় সামাল দিতে বাড়তি আরও দুই জোড়া ট্রেন চালানো হতে পারে। তবে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
অনির্বাণ রায়