ধরে নিন আপনি খোলা আকাশে পাখির মত ডানা মেলে উড়ছেন এবং আপনার চোখের নিচে ভাসছে দার্জিলিংয়ের মন মুগ্ধ করা চা বাগান থেকে শুরু করে বরফের চাদরে মোড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা ভাবলেই যেন গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। বর্তমানে পাহাড়ের রান দার্জিলিংয়ের সিংমারী বাজারে অবস্থিত এই রোপওয়ে পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।এই অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতা নিতে দূর দূরান্ত থেকে পাহাড়ের এই ৭০০০ ফিট উচ্চতায় ছুটে আসে অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা।
advertisement
৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রোপওয়েটি দার্জিলিংকে উপত্যকার তলদেশে অবস্থিত রঙ্গিত নদীর সিংলা বাজারের সাথে সংযুক্ত করেছে। পাহাড়ি এই পাঁচ কিলোমিটার পথে পাখির মত উড়তে উড়তে কখনো প্যানোরমিক ভিউতে বিস্তীর্ণ সবুজে ঘেরা চা বাগান, রঙ্গিত নদী, দার্জিলিংয়ের তলদেশে মনমুগ্ধ করা বিস্তীর্ণ রঙ্গিত নদী উপত্যকা , কখনো আবার ঘুমন্ত বুদ্ধা অর্থাৎ পর্যটকদের ভালোবাসার বরফের চাদরে মোড়া মায়াবী কাঞ্চনজঙ্ঘা আপনার মনে দাগ কেটে যাবে। এ প্রসঙ্গে এখানে ঘুরতে আসা এক পর্যটক অঞ্জলি পাল বলেন, ‘আমি প্রথম দার্জিলিঙে এসেছি এবং এখানে এসে দারুণ অভিজ্ঞতা হল। এই রাইডে প্রথমে একটু ভয় লেগেছিল কিন্তু পরে সেই আকাশের উপর থেকে পাহাড়ে ঘেরা চা বাগানের অপরূপ দৃশ্য দেখে মন মুগ্ধ হয়ে গিয়েছে।’
এই প্রসঙ্গে এখানে কর্মরত প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘বর্তমানে পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় জায়গা। সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে বিকেল চারটে পর্যন্ত চলে এই রোপওয়ে যা ক্যাবল কার রাইড বলেও পরিচিত। বর্তমানে ১২ টি কেবিন রয়েছে।’
দার্জিলিং মানেই পর্যটকদের কাছে এই অ্যাডভেঞ্চারাস যাত্রা। প্রতিনিয়ত এই জায়গায় ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের এবং তারা পাখির চোখে দারুন ভাবে দার্জিলিংকে উপভোগ করছে।
শীতের মরশুমে আপনি যদি দার্জিলিং যাবার প্ল্যান করে থাকেন তাহলে অবশ্যই হাতে এক দিন সময় বের করে পাখির চোখে দার্জিলিংকে দেখতে হলে ঘুরে আসুন দার্জিলিংয়ের সিংমারী বাজারে ৭০০০ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত দার্জিলিং রোপওয়ে থেকে , এই অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতা সারা জীবনের জন্য আপনার মনে দাগ কেটে যাবে।
Sujoy Ghosh