স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির কাছে পাহাড়ের ঢালে পানীয় জলের পাইপ মেরামতের কাজ করছিলেন প্রনীল। কাজের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে সামান্থাও। ঠিক সেই সময় পাহাড় থেকে হঠাৎ ধস নামে। গড়িয়ে আসতে থাকে বড় বড় পাথর। তারই একটির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রনীলের।
advertisement
স্থানীয় গ্রামবাসীরা সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে কোনও ভাবে সামান্থাকে উদ্ধার করেন এবং বিজনবাড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁরও। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই দার্জিলিং-সহ গোটা পাহাড়ে চলছে ভারী বৃষ্টিপাত। বৃষ্টির জেরে একাধিক জায়গায় ছোট-বড় ধস নামছে, সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক আতঙ্কের। গোকে এলাকার এই ঘটনাও সেই ধারাবাহিকতারই অংশ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
মৃতদের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পাহাড়ি অঞ্চলে বৃষ্টির সময় কোনও সতর্কতা বা দ্রুত বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থা নেই। প্রশাসনের তরফে এই ধরনের দুর্ঘটনা রুখতে আরও দ্রুত পদক্ষেপের দাবি উঠেছে।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য






