বর্তমান যুগে পাহাড়ি রাস্তায় পায়ে হেঁটে পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে পাহাড়ের চূড়ায় পাড়ি দেয় বহু ট্রেকিং-প্রেমীরা। দিনের পর দিন এই ট্রেকিং এবং হাইকিং পর্যটকদের মধ্যে প্রকৃতিকে কাছ থেকে চেনার উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই অর্থে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পাহাড়ি দুর্গম রাস্তায় পাহাড়ের কোল বেয়ে ট্রেকিংয়ে পাড়ি দিচ্ছে যুব প্রজন্ম। সেক্ষেত্রে অনেকেই আবেগের বসে অনেক কিছু ভুল করে বসে কেউ পাহাড়ে শিখরে দ্রুত পৌঁছনোর জন্য কয়েক কিলোমিটার বেশি পথ পাড়ি দেয় আবার কেউ শারীরিক অসুস্থতাকে তোয়াক্কা না করেও পাহাড়ের হাই অলটিটিউডে ছুটে চলে সেক্ষেত্রে দিনের পর দিন প্রাণ হারাচ্ছে বহু পর্যটক।
advertisement
আরও পড়ুনঃ খরচ কমে অর্ধেক! বেড়ানোর প্ল্যান থাকলে এই সুযোগ পাবেন আপনিও, বিরাট খবরে চমকে দিল সিকিম
তবে সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললেই জীবনের ঝুঁকি অনেকটাই কম হবে। এই প্রসঙ্গে জিটিএ অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের ডিরেক্টর দাওয়া শেরপা জানান, ইতিমধ্যেই দার্জিলিংকে হাইকিংয়ের রাজধানী বলে ঘোষণা করা হয়েছে এবং এই দার্জিলিংয়েই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে উচু পর্বত শৃঙ্গ সান্দাকফু সেই অর্থে বহু পর্যটকের ট্রেকিংয়ের হাতেখড়ি হয় এই সান্দাকফু থেকেই। বর্তমানে বহু পর্যটক আবেগের বশে হাতে কম সময় থাকায় দ্রুত পাহাড়ের শিখরে পৌঁছে যেতে চায় সেখানেই ঘটে বিপত্তি। আসলে একজন ট্রেকারের পক্ষে একদিনে ৫০০ মিটারের বেশি ট্রেক করা উচিত নয় এতে জীবনের ঝুঁকি বাড়ে। সাধারণত পাহাড়ের অধিক উচ্চতায় পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাওয়াতে সাধারণত ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। শারীরিক অসুস্থতা থাকলে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং স্থানীয় ট্যুর গাইডের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।
ট্রেকিংয়ের ক্ষেত্রে হাতে সময় রাখা প্রয়োজন, তাড়াহুড়ো করলেই বিপত্তি এবং সান্দাকফু ভ্রমণের জন্য তিন-চারদিন অত্যাবশ্যকীয়। একজন মানুষের হাই অলটিটিউডের দূর্বলতা বোঝার জন্য কমপক্ষে ১২-২৪ ঘণ্টা সেই জায়গায় থাকতে হয়, সেক্ষেত্রে জীবনের ঝুঁকি অনেকটাই কম হয়।
সুজয় ঘোষ