তবে অধিকাংশ মানুষ এখনো খোলা আকাশের নিচে ত্রিপল টাঙিয়ে রয়েছেন। পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বানভাসীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও বৃষ্টিতে চরম সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন উঁচু জায়গায় মাঠে জল জমতে শুরু করেছে। সেখানে বসবাস করছেন বানভাসিরা। চান শিবির গুলিতেও বৃষ্টির জল জমে চরম বিপাকে পড়েছেন বহু মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে আসবাবপত্র বাড়ির সামগ্রী নিয়ে চরম হয়রানির শিকার বানভাসি মানুষেরা।
advertisement
আরও পড়ুুন- Jalpaiguri News: আগ্রাসী তিস্তা, তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ
বৃষ্টি প্রতিদিনই পড়ছে, খাবারের ব্যবস্থা করা হলেও, ঠিকমত আশ্রয় না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বানভাসি মানুষেরা। চিনু সরকার বলেন, পলেথিনের তাঁবুতে ত্রাণ শিবিরে রয়েছি। বৃষ্টির জলে শিবিরেও জল ঢুকে যাচ্ছে।বাড়িঘর বন্যার জলে ঢুবে রয়েছে।
উত্তরবঙ্গ জুড়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের জেরে মহানন্দা নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছুঁয়েছে। মালদহ জেলা সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজারে মহানন্দা নদীর জল স্তরের বিপদসীমা ২১ মিটার। শুক্রবার সেই জলস্তর গিয়ে পৌঁছায় ২১.১০ মিটারে। যদিও মহানন্দা নদীর জলস্তর কমতে শুরু করেছে। তবে শহরের নিচু এলাকাগুলি থেকে জল নামতে অনেকটাই সময় লেগে যাবে। ইংরেজবাজার পুরসভার ৮,১২,১৩ নম্বর ওয়ার্ড মহানন্দা নদীর তীরবর্তী। এই ওয়ার্ড গুলির নদীর তীরবর্তী বস্তি এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। বাসিন্দারা বসবাস করছেন বিভিন্ন উঁচু জায়গায় খোলা আকাশের নিচে।
প্রতিদিন বৃষ্টিপাতের জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। এদিকে বৃষ্টির জলে চরম সমস্যায় রয়েছে ইংরেজবাজার পুরসভার ৩, ২৩,২৪ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজিত সাহা বলেন, চরম সমস্যায় রয়েছে আমার ওয়ার্ডের প্রায় ৩০০ টি পরিবার। ত্রাণ শিবিরেও জল জমে রয়েছে। মানুষ সমস্যায় রয়েছেন।
Harshit Singh