২০২৩ সালে দুর্গা পুজোর বোনাস নিয়ে শ্রমিক, মালিকপক্ষ বচসার জেরে বন্ধ হয়ে যায় আলিপুরদুয়ারের দলসিংপাড়া চা বাগান। আড়াই বছরের বেশি সময় হয়ে গেলেও মালিকপক্ষ বাগান খুলতে এগিয়ে আসেনি। শ্রম দফতরে একাধিকবার বৈঠকে গিয়েছে শ্রমিক নেতারা। কিন্তু সেখানে মালিকপক্ষকে দেখা যায়নি। সম্প্রতি শ্রম দফতরের পক্ষ থেকে দলসিংপাড়া চা বাগানের নেতাদের জানানো হয় মালিকপক্ষ বাগান খুলতে আগ্রহী, তারা বৈঠকে বসবেন। দলসিংপাড়া চা বাগানের মালিকপক্ষের থেকে বৈঠকে জানানো হয় তারা শ্রমিকদের দু’মাসের এরিয়ার টাকা দিয়ে বাগানে প্রবেশ করবেন।দলসিংপাড়া চা বাগানের শ্রমিকনেতাদের পক্ষ থেকে এই দাবি মানা হয়নি। তাদের একটাই দাবি ২০২৩ এবং ২০২৪ এর পুজোর বোনাসের টাকা শ্রমিকদের দিতে হবে, তবেই এই মালিকপক্ষ বাগানে প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু মালিকপক্ষের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় বোনাসের টাকা তারা দিতে পারবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে জল কষ্টে যেন না কাটে পাখিদের! এগিয়ে এল যুবক দল, করলেন প্রশংসনীয় কাজ
বাগান বন্ধ হওয়ার পর মিলছিল ফাউলাই। শ্রমিকদের অভিযোগ সেটিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ছয় মাস ধরে এই সমস্যা চলছে। আর্থিক পরিস্থিতি আরও বেহাল হয়ে পড়েছে বাগানের। শ্রম দফতরের দাবি, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই খুলে গিয়েছে বাগান।ফলে স্বাভাবিকভাবে বন্ধ করা হয়েছে ফাউলাই ভাতা। দলসিংপাড়া চা বাগানের এরূপ অবস্থা নিয়ে বর্তমানে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। শ্রম দফতরের দাবি মানতে নারাজ বাগানের শ্রমিকদের থেকে শুরু করে শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা। তাদের কথায়, বাগানের কারখানায় তালা ঝুলছে, বাগানের চারদিক ছেয়ে গিয়েছে আগাছায়। এরূপ দৃশ্য দেখে কে বলবে বাগান খুলেছে? বাগানের শ্রমিক রীনা গুরুং জানান, “বাগান খোলার কোন নাম নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এদিকে ফাউলাইয়ের জন্য ১৫০০ টাকা পেতাম। সেটাও বন্ধ, আমাদের কীভাবে চলবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শ্রম দফতরের বাগান খুলে যাওয়ার দাবিকে ভিত্তিহীন বলে অভিযোগ চা বাগানের তৃণমূল-বিজেপি দুই ইউনিয়নের নেতৃত্বেরই। এ বিষয়ে তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক মহম্মদ সাজু জানান, “শ্রম দফতর কীভাবে বলছে বাগান খোলা, আমরা জানিনা। বাগান বন্ধ থাকায় ফাউলাই ভাতার ওপরই নির্ভরশীল বাগানের অধিকাংশ শ্রমিক।মশীঘ্র তা চালু না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হব।”
Annanya Dey