যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি। তবুও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, ভিডিওতে যে মহিলা এবং পুরুষকে মারধর করা হচ্ছে তারা নাকি দু’জনেই বিবাহিত। দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। এরপর গ্রামবাসীরা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে সালিশি সভা বসায় গ্রামে। সেখানেই সিদ্ধান্ত ক্রমে তাদের শাস্তি ধার্য করা হয় মারধর করা হবে। এরপর তাদের গণপিটুনি দেওয়া হয় সকলের সামনে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সাতসকালে ওভারহেড তার ছিঁড়ে বিপত্তি, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-আমতা শাখায় বন্ধ ট্রেন চলাচল
জানা গিয়েছে, গণপিটুনি দেওয়ার পর তাদের নিদান দেওয়া হয় তারা কোনও পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে পারবে না। কোনও চিকিৎসকের কাছেও যেতে পারবে না। এমনকি সংবাদ মাধ্যমের কাছেও মুখ খুলতে পারবে না। পাশাপাশি, এদিন তাদের আর্থিক জরিমানা করা হয়। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, সিপিআইএম নেতার মোহাম্মদ সেলিম। আর এতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
এদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি স্বামী খান। তিনি বলেন, শাসকদলের নেতার মদতে এইভাবে সালিশি সভায় বেআইনিভাবে যেভাবে দু’জনকে মারধর করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, এই ঘটনার জন্য যিনি বেধড়ক মারধর করেছেন, তাকে গ্রেফতার করা উচিত। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রহমান বলেন, এই সমাজে পরকীয়া কখন ওই বরদাস্ত করে না সাধারণ মানুষ, তাই পরকীয়ার মতো ঘটনা ঘটায় সালিশি সভায় শাস্তি হিসেবে একটি বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, এটা না হলেই হত। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল।
পিয়া গুপ্তা