তাঁদের মধ্যে অন্তত দশ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।তবে সবচেয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে মালদহ জেলা পরিষদে ব্যাপক সংক্রমনের ঘটনা। কারণ, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু গ্রামীণ মানুষ নানা কাজের প্রয়োজনে প্রতিদিনই আসেন জেলা পরিষদে। একসঙ্গে অন্তত ৩০ জন কর্মী ও আধিকারিক আক্রান্ত হওয়ায় জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কাজকর্মে যেমন সমস্যা তৈরি হচ্ছে, তেমনই গোটা জেলা পরিষদ ভবনে কার্যত থমথমে পরিস্থিতি। করোনা সংক্রমিত কর্মী ও আধিকারিকেরা শুক্রবার সকাল থেকেই আইসোলেশনে রয়েছেন। বাকি আরও কিছু কর্মীর শুক্রবার সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: নাম ছাতা মুরুলি, সাগর দ্বীপে জালে উঠল বিরাট 'দানব'! ওজন-দামে আঁতকে উঠবেন...
এই পরিস্থিতিতে জেলা পরিষদের অধিকাংশ সদস্য এবং কর্মাধ্যক্ষরা কার্যত জেলা পরিষদে আসা বন্ধ করেছেন।এদিকে উদ্বেগজনক তথ্য হল, গত দু'দিন তিনদিনে মালদহে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তার বেশিরভাগই শহর এলাকায়। ইংরেজবাজার পুরসভা এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে বাড়ছে সংক্রমণ। মালদহ শহরের ঝলঝলিয়া, পিরোজপুর, মকদমপুর, মহেশমাটি, সিঙ্গাতলা প্রভৃতি এলাকায় তুলনামূলকভাবে বেশি সংক্রমণ প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন: ভেবে এনেছিলেন কুকুর ছানা, দিন কয়েক বাদেই মনিবের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল!
এসব এলাকা ছাড়াও শহরের ২৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে কমবেশি প্রায় সমস্ত ওয়ার্ডে বিক্ষিপ্তভাবে সংক্রমিতের হদিশ মিলেছে।এই অবস্থায় মাক্স পড়ার বিষয় সুনিশ্চিত করতে ধারাবাহিক অভিযান শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। বিভিন্ন বাজার এলাকাগুলিতে চলছে পালা করে পুলিশি অভিযান। শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলিতেও আচমকা অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিকে করোনা আক্রান্ত দুঃস্থ পরিবারের লোকজনের বাড়ি বাড়ি শুকনো খাবার অফ অল পৌঁছনোর উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। প্রতিদিনই পালা করে বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমিতদের বাড়িতে পৌঁছচ্ছে সরকারি খাবার।