এদিন ভোরে কলেজের হস্টেল থেকে ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে। মৃত পড়ুয়া কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাড়ি এই রাজ্যের দুর্গাপুর এলাকায়। হস্টেলের অন্যান্য পড়ুয়াদের কথায়, গত কিছু মাস ধরে এই পড়ুয়াকে মানসিক অবসাদগ্রস্ত দেখছিলেন তারা। কারও সঙ্গে কথা বলতে চাইতো না সে। এমনকি কোনও সহপাঠী তাঁর সমস্যার কথা জানতে চাইলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করত ওই পড়ুয়া।
advertisement
বিষয়টি কলেজের অধ্যাপকদের ও হস্টেলের ওয়ার্ডনকে জানিয়েছিল পড়ুয়ারা। গতকাল রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর ওই পড়ুয়া নিজের ঘরে চলে যায়। তার সঙ্গে থাকা অপর এক পড়ুয়া অন্য ঘরে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে আসে। এরপর ঘরে এসে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বারবার তাঁকে ডাক দিয়েছিলেন ওই পড়ুয়া। দরজা না খোলায় বিষয়টি হস্টেল ওয়ার্ডনকে জানায় পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুনঃ গরিব বন্ধুকে বাঁচাতে প্রয়োজন বিপুল টাকা! কিউআর হাতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে ‘তারা’
এরপর ভাঙা হয় হস্টেলের দরজা। ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় ওই পড়ুয়াকে। খবর দেওয়া হয় কোচবিহার থানায়। এদিন ভোরে এসে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে পড়ুয়ার। কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমান, কোনও পারিবারিক চাপে এই অঘটন ঘটিয়েছেন পড়ুয়া। কলেজের পক্ষ থেকেও তদন্ত করা হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণ গোপাল মিনা জানান, “ওই পড়ুয়ার সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। পড়ুয়ার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও সন্দেহজনক কোনও বিষয়ে উঠে আসেনি তদন্তে।”