যেখানে বহু মানুষ যারা বিভিন্ন কারণে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া যে সমস্ত মানুষের আর্থিক অবস্থা একেবারেই খারাপ তাঁদেরকেও এখানে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুখেই বড় কথা! ফের ভারতের থেকে ‘সাহায্য’ পেল বাংলাদেশ! এবার যা গেল ওপারে, শুনে চমকে উঠবেন কিন্তু
জীবন গাড়ি ফেরিওয়ালার মূল উদ্যোক্তা পিংকী বর্মন জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর সমাজের জন্য কিছু করার ইচ্ছে ছিল। এমনিতেই সমাজের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা বিভিন্ন সময় অবহেলার শিকার হয়ে থাকেন। তবে এই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা যদি সমাজের কল্যাণে এগিয়ে আসে। তাহলে সকলের কাছে এক অন্যান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে। দীর্ঘ করোনা কাল থেকে এই পরিকল্পনা শুরু করেন তিনি। বর্তমান সময়ে এই অনাথ ও বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন। সামান্য কিছু কাজ বাকি রয়েছে।”
advertisement
জীবন গাড়ি ফেরিওয়ালা সংগঠনের সভাপতি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ মিঠু বর্মন জানান, “আনুমানিক প্রায় দুই কোটি টাকার মতন খরচ হয়েছে এই আশ্রম তৈরি করতে। বর্তমানে বেশ কিছু অনাথ ও বৃদ্ধ পুরুষ ও মহিলা এখানে রয়েছেন। আরোও বহু মানুষ আসার জন্য যোগাযোগ করেছেন। ভবিষ্যতে বাচ্চাদের জন্য একটি স্কুল তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।” এই বৃদ্ধাশ্রমে থাকা এক বাসিন্দা আরতি বর্মন জানান, “সংসারে তাঁর নিজের বলতে কেউ নেই বর্তমানে। তাই তিনি এখানে এসে রয়েছেন। তবে এখানকার পরিবেশ ও মানুষেরা তাঁকে যথেষ্ট ভালোবাসে।”
কোচবিহারের এই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা সমাজের জন্য যে অবদান রাখছেন। সেই বিষয়টিকে ইতিমধ্যেই বহু মানুষে সাধুবাদ জানাতে শুরু করেছেন। বহু মানুষ তাঁদের পাশে এসে দাঁড়াতেও চাইছেন। বর্তমানে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের তৈরি এই জীবন গাড়ি ফেরিওয়ালা অনেকটাই প্রশংসা পাচ্ছে। ভবিষ্যত দিনে এই সমাজ কল্যাণের কাজ আরোও অনেকটাই করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে এই মানুষদের পক্ষ থেকে। অনাথ ও বৃদ্ধাশ্রমের পাশাপাশি ভবিষ্যত দিনে বাচ্চাদের জন্য বিদ্যালয় তৈরির পরিকল্পনাও শুরু করা হয়েছে।
Sarthak Pandit





