চাষের বিষয়ে কানাইলাল রাজভর জানান, “আগে তিনি একটি জমিতে এক ধরনের ফসল চাষ করতে পারতেন। তবে তিনি দেখলেন এক জমিতে যদি একের বেশি ফসল চাষ করা সম্ভব হয়। তবে লাভের মাত্রা বাড়বে অনেকটাই। লাউ চাষ করতে বাঁশের মাচার প্রয়োজন পড়ে। তবে বাঁশের মাচার নিচের অংশ ফাঁকাই থাকে। এই অংশ ফাঁকা ফেলে না রেখে সেখানে অন্য যেকোনো ফসল চাষ করা সম্ভব। তবে সেই জায়গায় ভাল ফলন দিতে সক্ষম, আদা কিংবা হলুদ। তবে তিনি এই দুই জিনিসই চাষ করেছেন লাউয়ের সঙ্গে।”
advertisement
আরও পড়ুন: রোজ রোজ বাজার থেকে ফুল কেনার ঝামেলাকে বলুন ‘bye’! শীতে এভাবেই তৈরি করুন বাড়িতে সুন্দর গাঁদা ফুল গাছ
তিনি আরও জানান, “এই চাষ করতে তার মোট খরচ হয়েছে আনুমানিক ১৫,০০০ টাকা। তবে তিনি এই চাষের মাধ্যমে মাসে আনুমানিক ১৮,০০০ টাকার মতন রোজগার করতে পারছেন। প্রায় ছয় মাস পর্যন্ত এই রোজগার চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ গোবর সার ও কীটনাশক প্রায়োগে ফসল অনেকটাই ভাল হয়ে থাকে। তাই তিনি নিশ্চিন্তে অনেকটাই ভাল টাকা মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছেন। তাঁর দেখানো পথে তাঁর এলাকার আরোও বহু কৃষক এভাবেই চাষ করতে শুরু করেছেন। ফলে সেই কৃষকেরাও অনেকটা রোজগার করতে পারছেন তাঁর মতন।”
আরও পড়ুন: তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অবাক কর্মকাণ্ড! প্রশংসা মিলছে মানুষের
দীর্ঘ সময়ের চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত এই ব্যক্তি বর্তমান সময়ে জেলার বহু কৃষকের কাছে অনুপ্রেরণা। বয়সের ভারে ক্লান্ত না হয়ে পড়ে, তিনি নিত্য নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ আবাদ করে চলেছেন এখনও। তাঁর দেখানো পথে বহু কৃষক চাষ করার মাধ্যমে অনেকটাই লাভের মুখ দেখতে পারছেন। গতানুগতিক চাষ আবাদের পরিবর্তে এভাবে মিশ্র চাষ করার মাধ্যমে লাভের মাত্রা বাড়িয়ে তোলা সম্ভব অনেকটাই।
Sarthak Pandit





