হাটের এক ব্যবসায়ী হাসিবুল হক জানান, “জেলার বহু মানুষ এই হাটের সম্পর্কে জানেন। দীর্ঘ সময় ধরে এই হাট চলছে এখানে। আর এই হাটে তাঁরাও কয়েক পুরুষ ধরে ব্যবসা করে আসছেন। তবে বর্তমানে হাটের অবস্থা বেহাল হয়ে উঠেছে। ফলে হাটের ক্রেতাদের সংখ্যা কমেছে বেশ কিছুটা।” হাটের আরেক ব্যবসায়ী জহিরুল হোসেন জানান, “এই হাটের শেডের মেরামতি দ্রুত করা উচিত। সামনেই বর্ষার মরসুম আসতে চলেছে। তখন রীতিমত বৃষ্টিতে ভিজে দোকান করতে হবে নাহলে। এই ভোগান্তি করোনা কালের সময় থেকেই হয়ে আসছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: বাবা ও ছেলের সঙ্গে প্রেম, চুমু! বলিউডের এই পাঁচ নায়িকার কাণ্ড জানলে অবাক হবেন
হাটের কেয়ারটেকার বিপ্লব দাস জানান, “এই সমস্যা অনেকটা সময় হয়ে গিয়েছে। তবে আজও এই সমস্যা সমাধানে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে এর মূল কারণ হল পর্যাপ্ত টাকার অভাব হাট কমিটির কাছে। তাই অঞ্চলের দ্বারস্থ হয়েছে হাট কমিটি।” যদিও এই বিষয় নিয়ে যাত্রাপুরের গ্রাম পঞ্চায়েত সজল দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়দের বক্তব্য, “দ্রুত এই হাটের সংস্কার না হলে অদূর ভবিষ্যতে এই হাট আরোও সংকটের মুখে পড়তে চলেছে। এমনিতেই আগের থেকে ক্রেতাদের সংখ্যা কমেছে অনেকটা। সংস্কার না হলে আরও কমবে।”
যদিও গোটা বিষয় নিয়ে এখনো পর্যন্ত জেলা প্রশাসনিক দলের কর্তাদের কোনও প্রকার কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি। তবে জেলার ইতিহাস অনুসন্ধানীরা রাজ আমলের এই হাটের দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় এটাই, আদতে কতদিনে এই হাটের সংস্কার সম্ভব হয়। এছাড়া হাটের সেই পুরনো জৌলুস ফিরে আসে।
Sarthak Pandit