আরও পড়ুনঃ ঘিয়ে লুটোপুটি হলুদ রঙা সুগন্ধি, মধ্যে কাজু-কিশমিশ! ভাইরাল পোলাও না খেলে বিরাট ‘মিস’
শুঁটকি বিক্রেতা মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম জানান, “এই ইলিশ বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ। টাটকা ইলিশ শুকিয়ে নিয়ে তারপর লবণ ছিটিয়ে দিয়ে এই ইলিশ শুঁটকি তৈরি হয়। মূলত লবণ দিয়ে মাখিয়ে শুঁকনো হয় মাছকে। কারণ, টাটকা ইলিশ মাছ বেশিদিন রেখে বিক্রি করা সম্ভব হয় না। তবে এই শুঁটকি ইলিশ অনেকদিন পর্যন্ত রেখে বিক্রি করা সম্ভব। এছাড়াও তাঁদের কাছে রয়েছে চ্যাপা শুঁটকি। এই শুটকি খেতে দারুণ সুস্বাদু হয়ে থাকে। চ্যাপা শুঁটকি মাছের দাম কেজি প্রতি ১৫০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত। এবং পদ্মা নদীর নোনা ইলিশ শুটকির দাম রয়েছে কেজি প্রতি ২০০০ টাকা। এছাড়া পিস হিসেবেও বিক্রি করা হচ্ছে এই মাছ।
advertisement
শুঁটকি কিনতে আসা এক ক্রেতা জহর রায় জানান, “প্রতি বছর মেলা থেকে এই মাছ কিনে থাকেন তিনি। বাংলাদেশের ইলিশ ও চ্যাপা শুঁটকি সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না কোচবিহারে। তাই এই দুই শুঁটকি মাছ তিনি কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।” শুঁটকি বিক্রেতা মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, “তিনি প্রতি বছর বাংলাদেশের ইলিশ ও চ্যাপা শুঁটকি মাছ নিয়ে আসেন রাস মেলায়। ১৯৯০ সাল থেকে তিনি পদ্মার ইলিশ ও চ্যাপা মাছের সম্ভার নিয়ে হাজির হন এই রাস মেলায়। এই ইলিশ শুঁটকি অনেকদিন পর্যন্ত রেখে দিলেও নষ্ট হয়ে যায় না। এবং এর স্বাদ ও গুন একই রকম থাকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত।” তবে একটা কথা বলতেই হয়। এই দুই শুঁটকি সঠিক উপায়ে এবং পদ্ধতি অনুসরণ করে রান্না করলে। যেকোন মানুষের জিভে জল আসতে বাধ্য।
Sarthak Pandit