ভোট আসে, প্রতিশ্রুতি শোনা যায়, আবার ভোট শেষ হলে সব কিছু ফিকে হয়ে যায়। কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী শ্যাম পাল বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতাদের আগমন ক্ষণস্থায়ী ও তাঁদের দুরবস্থার সমাধান দূরের স্বপ্ন। অথচ এখান থেকেই উত্তরবঙ্গের প্রায় প্রত্যেকটি বড় পুজোয় প্রতিমা পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনঃ ১৯৯৮, ২০০০ সালের পর এই প্রথম! ‘ডেঞ্জার লেভেল’ পেরিয়েছে গঙ্গার জলস্তর, ‘এই’ জেলায় বাড়ছে আতঙ্ক
advertisement
এলাকার অবস্থা কার্যত শোচনীয়। পর্যাপ্ত শৌচালয় ও স্নানাগারের অভাব, সন্ধ্যার পর অন্ধকারে ঢেকে যায় একাধিক রাস্তা, জরাজীর্ণ পথঘাটে বৃষ্টির সময় হাঁটাও দুঃসাধ্য। দুর্গাপুজোর মরসুমে ভোগান্তি আরও বাড়ে, কারণ ভাঙাচোরা রাস্তায় প্রতিমা নিয়ে যাওয়া শিল্পীদের জন্য রীতিমতো দুঃস্বপ্ন।
স্থানীয় শিল্পী অসীম পাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রতিমা তৈরির আগে, পরে আমরা দিন রাত এক করি, কিন্তু আমাদের ন্যূনতম সুযোগসুবিধা নেই। এই সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান করা জরুরি। আমি প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করব’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কুমোরটুলির শিল্পকর্ম শিলিগুড়ির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। কিন্তু অবহেলার বোঝা যেন ধীরে ধীরে এই ঐতিহ্যকে ভেঙে দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, এই মৃৎশিল্পীদের জীবনে উন্নয়নের আলো কবে পৌঁছবে?