জানা গিয়েছে শুক্রবার বিকেলে কলেজের কাছেই একটি পুকুরে অন্যান্য সহপাঠীদের সঙ্গে হোলি খেলতে যায় বাপ্পি। সেসময় পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়। এদিন কলেজের কয়েকজন ছাত্র মৃতদেহ নিয়ে বাড়িতে পৌঁছায়। মৃত ছাত্রের মা বনলতা দাস বলেন, “আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিক।” মৃত ছাত্রের বোন বর্নালী দাস বলেন, “বিকেল চারটা নাগাদ শুক্রবার বাড়িতে ফোন আসে। তখন ওপার থেকে বলা হয় দাদা পুকুরে স্নান করতে গিয়ে জল খেয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমার দাদার মৃত্যুর তদন্ত দাবি করছি।”
advertisement
আরও পড়ুন: রোজ চড়ছেন, ‘বাসের’ ফুল ফর্ম কি বলুন তো? ৯৯% লোকজনই ডাহা ফেল, উত্তর শুনলে চমকে যাবেন
মৃত ছাত্রের বাবা গিরেন দাস গ্রামের সাধারন কৃষক। এই মৃত্যু নিয়ে গ্রামে নানান জল্পনা তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে ওই ছাত্র সাঁতার কাটতে পারত না। তবুও কেন ও পুকুরে স্নান করতে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল।
এদিকে মৃতদেহ নিয়ে আসা কলেজের ছাত্র শেখ আমন বলেন, “এটি একটি দুর্ঘটনা। আমরা গত বছরও ওই পুকুরে হোলি খেলেছি, স্নান করেছি। এবার আচমকা বাপ্পি নিখোঁজ হয়ে যায়। আমরা দ্রুত ওকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেসময়ও বেঁচে ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে চিকিতসকরা ওকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এটা ঠিক ও সাঁতার জানত না। কিন্তু পুকুরে বেশি জল ছিল না। কোনভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আর আমরা কোনদিন র্যাগিংয়ের শিকার হইনি।’’
