সপ্তাহে একদিন চলা এই খেলায় প্রায় হাজার মোরগ অংশগ্রহণ করে থাকে। পাশাপাশি এই খেলাকে উপভোগ করতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষ সপ্তাহে একদিন এই লড়াই দেখতে ভিড় জমিয়ে থাকেন। লড়াইয়ে কোন মোরগ প্রতিপক্ষ মোরগকে হারাতে পারলে বিজয়ী মোরগওয়ালাকে পুরস্কৃত করা হয়। তবে কুয়ারণ গ্রামে মোরগ লড়াইয়ে লড়াই করতে করতে ছুরির আঘাতে একটি মোরগ ঘায়েল হয়। তখন যাঁর মোরগ জয়ী হয়, তাঁকেই পরাজিত মোরগটি তুলে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ধলতা দিতে দিতেই শেষ চাষিরা! ধান বিক্রি নিয়ে বিরাট অভিযোগ কৃষকদের
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বাঙালীর ঐতিহ্যের সংস্কৃতিতে ঋতু বৈচিত্র্যে নানা উৎসবের অনুষঙ্গে বিনোদনের জন্য মোরগ লড়াই বড় অধ্যায় হয়ে আছে আদিকাল থেকেই। প্রত্যেকে তাদের পোষা তেজী মোরগ সংগ্রহ করে নিয়ে যায় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাতে। অনেক গৃহস্থ ও কৃষক প্রতিযোগিতার জন্য মোরগকে পোষ মানিয়ে প্রশিক্ষণও দেন। বাড়িতে লালন পালন করার পর প্রশিক্ষণ দিয়ে উন্নতজাতের লড়াকু মোরগ তৈরি করা হয়। মোরগের গলা, পেখম, ঠোঁট ও পা লড়াইয়ে এক সঙ্গে ব্যবহার হয়। চিত্ত বিনোদনের এই লড়াইয়ে উভয় পক্ষের লড়াকু মোরগ প্রথমেই ঝুঁটি ফুলিয়ে প্রস্তুত হয়। লড়াই শুরুর আগে মোরগের পায়ে ছোট্ট চাকু বেঁধে দেওয়া হয়। সাধারণত প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেই তা ব্যবহার করে। তারপর সুযোগ বুঝে ডানা দিয়ে আঘাত করে। নির্দিষ্ট জায়গার মধ্যে উভয় পক্ষের আক্রমণে বিপর্যস্ত হওয়ার পর যে মোরগ সুস্থ থাকে সেই হয় বিজয়ী।
সুস্মিতা গোস্বামী





