আরও পড়ুন: প্রাইভেট টিউশন সেরে আর বাড়ি ফেরা হল না জাহানুমার
একসময় বাঙালির অন্যতম প্রধান বিনোদন ছিল এই সার্কাস। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিনোদনের ধরন সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। তাছাড়া সরকারের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় সার্কাসে বাঘ-সিংহ-ভল্লুক-হাতির খেলা দেখানো নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় তার শেষ আকর্ষণটুকুও হারিয়ে বসেছে সার্কাস। ফলে অল্পবয়সীরা আর সার্কাস দেখার আকর্ষণ অনুভব করে না। তাই শীত এলেও বাঙালির বিনোদনের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় সার্কাস।
advertisement
এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে করোনার পর রবিবার প্রথম শিলিগুড়ি শহরের জলপাই মোড়ে শুরু হতে চলেছে রোলেক্স সার্কাস। বন্যপ্রাণী না থাকলেও দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করছে সার্কাস। তার জন্য রোলেক্স সার্কাসের প্রধান বাজি তিন জোকার ও মণিপুরি শিল্পীদের নানান খেলা। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে আসা জোকার অনিমেষ খাটুয়ার গলায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ঝরে পড়ে আক্ষেপের সুর। তিনি বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আর কেউ সার্কাসে আসছে না। সার্কাস বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের জীবনযাপন করা দুষ্কর হয়ে উঠবে। সরকারের কাছে আবেদন করছি যাতে সার্কাস শিল্পকে বাঁচায়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
রোলেক্স সার্কাসের ম্যানেজার রূপেশ সিং বলেন, আমরা বিভিন্ন গ্রামে শীত পড়লেই সার্কাস নিয়ে যেতাম ৷ আজ থেকে ২০ বছর আগে বহু মানুষ সার্কাসের টিকিট না-পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরত৷ কিন্তু সেই চিত্র অনেকটাই বদলেছে৷ সার্কাসে এখন টিকিট বিক্রি হয় না। হাতে গোনা কয়েকটি টিকিট বিক্রি হলেও সার্কাস দেখতে আসা দর্শকরা বলেন, সার্কাসে আগের মতো জৌলুস আর নেই৷ বন দফতরের নিয়মের কারণেই এই অবস্থা বলে তিনি দাবি করেন।
অনির্বাণ রায়