কোচবিহারের এক প্রসিদ্ধ বেকারির ব্যবসায়ী পুলক কুমার সাহা জানান, “তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এই বেকারির ব্যবসা করে আসছেন। তবে আগে খুব একটা চাহিদা ছিল না বেকারির কেকের। বর্তমানে এই বেকারির কেকের চাহিদা বেড়ে উঠেছে অনেকটাই। মানুষ এখন অনেকটাই স্বাস্থ্য সচেতন। তাই বেশি প্রিজারভেটিভ দেওয়া কেক তাঁরা পছন্দ করেন না। তাই কম সময়ের জন্য কেক তাঁরা বেশি পছন্দ করেন। এছাড়া দামে কম হলে সেই কেক বেশি পছন্দ হয় সকলের। তাই সকলের কথা মাথায় রেখে সেই ধরনের কেক বেশি তৈরি করা হচ্ছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের আমেজে ইতিহাসের খোঁজ! ঘুরতে আসুন জেলার এই রাজবাড়িতে
বেকারির কর্মী অনুপ কুমার দাস জানান, “সময়ের সঙ্গে মানুষের চাহিদার ও পছন্দের পরির্বতন হচ্ছে। সেই কথা মাথায় রেখে প্রতিবছর নতুন ধরনের বেশ কিছু কেক তৈরি করা হয়। তবে বেশিরভাগ মানুষের পছন্দ ড্রাই ফ্রুট দেওয়া কেক। ফলে সেই কেকও তৈরি করা হচ্ছে। তবে কেকের দাম বিগত বছরের তুলনায় কিছুটা বাড়ছে, কাঁচামালের বাজারমূল্য বৃদ্ধির জন্য।” বেকারির হকার গৌতম দাস জানান, “ইতিমধ্যেই বহু দোকান থেকে বেকারির কেকের অর্ডার আসতে শুরু করেছে। সেই অনুযায়ী তাঁরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিভিন্ন দোকানে কেক সাপ্লাই দেওয়ার জন্য।”
আরও পড়ুন: লাভের চিন্তাকে বলুন ‘বাই বাই’! এক জমিতে ৩ রকমের চাষ করে মোটা টাকা রোজগার করছেন এই চাষি
বড়দিনের আমেজে ছোট থেকে বড় সকল বয়সীরাই কেক খেতে দারুণ পছন্দ করে থাকেন। তাইতো প্রতিবছর বেশি লাভের আশায় বেকারির কেক তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বেশিরভাগ বেকারির ব্যবসায়ীরা। চলতি বছরে কাঁচামালের বাজারদাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কেকের দামে কিছুটা বৃদ্ধি হতে চলেছে। তবে নিত্যনতুন ধরণের বেশকিছু কেক বাজারে আসতে চলেছে এটুকু নিশ্চিত। বড়দিনের আমেজে কেক বিক্রির হিড়িক চলতি বছরের লক্ষ্য করা যাবে অনেকটাই।
Sarthak Pandit





