ছোট্ট শহর জলপাইগুড়ির কৌশিক নাগ বর্তমানে ইসরোর আর কয়েকশো বিজ্ঞানী এবং অন্যান্যদের মধ্যে একজন। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কৌশিকও সেই দলের একজন সদস্য। চন্দ্রযান-৩-এর উড়ানে এবং ভারতের এই প্রাপ্তিতে সহযোগিতা রয়েছে কৌশিকেরও। বলাই বাহুল্য, কৌশিকের সাফল্যে শহরে বইছে খুশির হাওয়া। জানা গিয়েছে, কৌশিক জলপাইগুড়ি হোলি চাইল্ড স্কুল থেকে পড়াশোনা করে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে বি.টেক (B.tech) করেছেন জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে।
advertisement
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে চাঁদে ‘মুনওয়াক’ শুরু প্রজ্ঞানের, এল প্রথম ছবি
তথাকথিত ‘স্মল টাউন’ থেকেও যে স্বপ্নপূরণ করা সম্ভব তার জলজ্যান্ত উদাহরণ এ শহরের ছেলে কৌশিক। মাত্র ২৯ বছর বয়সে তাঁর এমন সাফল্যে আপ্লুত জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দারা। চন্দ্রযান ৩ যখন চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি স্পর্শ করে, টিভিতে মাহেন্দ্রক্ষণের সেই দৃশ্য দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন কৌশিকের মা সোনালি নাগ। নিমেষেই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে শহরজুড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে কৌশিকের জয়জয়কার।
আরও পড়ুন: চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম ছুঁয়ে ফেলল চাঁদের জমি, ঐতিহাসিক কীর্তি ভারতের
ইতিহাস সৃষ্টি করা চন্দ্রযান ৩ -এর সফল অভিযানে জলপাইগুড়ির এই কৃতী সন্তানের জন্য কৌশিকের পরিবার এবং আপামর শহরবাসীর আজ গর্বিত। খুশিতে আবেগতাড়িত হয়ে মা সোনালি রায় বলেন, “আমার ছেলে ছোট থেকেই পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী। ওর বরাবরেরই ইচ্ছে ছিল গবেষণা করার। ওর এই সাফল্যে আমরা খুবই খুশি”। অন্যদিকে, এলাকার সকলেই কৌশিকের সাফল্যে বেশ আনন্দিত। এলাকার এক বাসিন্দা অনির্বাণ কুন্ডু বলেন, “কৌশিকের এই জয় ওর একার নয়, পুরো জলপাইগুড়িবাসীর জয়। ও এই জেলার গর্ব, আরও সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাক এই শুভকামনা রইল।
সুরজিৎ দে