টানা বৃষ্টিপাত প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং তিস্তায় হড়পা বানে একাধিক বার ১০ নাম্বার জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত পড়ে পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রবল বৃষ্টিতে তিস্তার জলস্রোতে তলিয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গ সিকিমের লাইফ লাইন ১০ নং জাতীয় সড়কের একাংশ। যে কারণে পাহাড় কেটে নতুন করে জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ করতে হয়। কিন্তু রাজ্যের পরিকাঠামো কম থাকায় সেই কাজ করতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছিল। কাজ দেরিতে শেষ হওয়ার পাশাপাশি পরিকাঠামো কম থাকায় ঠিকমতো কাজ হচ্ছিল না এবং বারবার একই জায়গায় ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল এই ১০ নং জাতীয় সড়ক।
advertisement
এতে রাজ্যের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সড়কটি বাংলা সিকিমের লাইফ লাইন হওয়ার কারণে আর্থিক, পর্যটন ও বাণিজ্যের দিক দিয়ে ক্ষতির মুখে পরতে হচ্ছিল দুই রাজ্যকে। এই প্রসঙ্গে এক পর্যটন ব্যবসায়ী কৌশিক বারুই বলেন বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এবং তিস্তার হড়পা বাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ১০ নং জাতীয় সড়ক এর ফলে সমস্যায় পড়তে হয়েছে পাহাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটক থেকে শুরু করে পর্যটন ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রের কাছে এই রাস্তার দেখভালের দায়িত্ব যাওয়ায় আশা রাখছি এই রাস্তাটি আরো ভালোভাবে তৈরি হবে এবং পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের পর্যটন ব্যবসা ভালো হবে।
আরও পড়ুনঃ KKR News: কেকেআর রাখেনি দলে! ৫ বলে ১১ উইকেট নিল সেই বোলার, নিলামে তাকে নিয়ে উঠবে ঝড়!
গত ২৫ জুন বাংলা সিকিম লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামত ও সংস্কারের কাজ যাতে কেন্দ্র সরকার নিজের হাতে নেয় দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সেই দাবি করেছিলেন প্রেম সিং তামাং,একই দাবি তোলেন রাজু বিস্তা সহ পর্যটন সংস্থাগুলিও। বর্তমানে কেন্দ্রের হাতে দায়িত্ব যাওয়ার পর সকলের একটাই আশা এই ১০ নং জাতীয় সড়কের কাজ আরো ভালোভাবে সম্পন্ন হবে এর ফলে সিকিমের পর্যটন নতুন করে আয়ের দিশা দেখাবে।
সুজয় ঘোষ