উত্তর দিনাজপুরের মালগাঁও গ্রাম ও তার আশপাশে প্রায় দশ হাজার পরিবারের বাস। এই পরিবারগুলোর রুটিরুজি বর্তমানে কার্পেট, গালিচা তৈরির উপরই নির্ভর করে। শুরুটা হয়েছিল সেই ১৯৮৯ সালে। যা খানিকটা গল্পের মত।
এই মালগাঁও গ্রামের কৃষক পরিবারের ছেলে আবু তাহের উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে জীবিকার সন্ধানে গিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশ। সেখানকার ভাদোহি গ্রামে গিয়ে ওঠেন। ওই গ্রামটি কার্পেট, গালিচা তৈরির জন্য বিখ্যাত ছিল। সেখানে চোখের সামনে দেখেছিলেন প্রচুর মানুষ সেই রঙবেরঙের কার্পেট বুনছে। গ্রামের পুরুষ থেকে মহিলা সকলের পেশা এটাই। বিষয়টি মন ছুঁয়ে যায় আবু তাহেরের। সেখানে থেকে তিনিও ধীরে ধীরে এই কার্পেট, গালিচা তৈরির কাজ শেখেন। তারপর নিজের গ্রামে ফিরে এসে সকলকে এই কাজ শেখান।
advertisement
আরও পড়ুন: নতুন মেশিন বসানোর বিরোধিতা করতেই জুটমিল বন্ধ করে দিল মালিক
উত্তর প্রদেশের ভাদোহি থেকে ফিরে আবু তাহের গ্রামেই কার্পেট তৈরির একটি কারখানা খোলেন। সেই শুরু। এক সময় কাজের সন্ধানে যে গ্রামের মানুষদের ভারতের অন্যান্য প্রান্তে চলে যেতে হত, তাঁরাই আজ গ্রামে বসে কার্পেট তৈরি করে স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন।
মালগাঁও-এ তৈরি কার্পেট আজ বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি মার্কিন মুলুক থেকে আরব দুনিয়া, ভিনদেশের সম্পদশালীদের বাড়িতেও শোভা পাচ্ছে এই গ্রামের তৈরি কার্পেট ও গালিচা। বর্তমানে এই গ্রামের কার্পেট শিল্পকে আরও আধুনিক করে তুলতে
আবু তাহের কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় গ্রামে একটি কার্পেট তৈরির ক্লাসটার গড়ে তুলছেন।
পিয়া গুপ্তা