স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুরের বাসিন্দা বিএসএফ জওয়ান কেদারনাথ হাঁসদা উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার দাসপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বিএসএফের ৯৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কে সি গছ সীমান্তচৌকিতে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার রাতে সীমান্তে প্রহরায় ছিলেন তিনি। শনিবার ভোর ৪টে নাগাদ থেকে বিএসএফ জওয়ান কেদারনাথের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাঁর লোকেশন পাওয়া যাচ্ছেনা। কিছুক্ষন পরেই গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। এরপর সীমান্ত চৌকির ইনচার্জ দুজন জওয়ানকে কেদারনাথের খোঁজে পাঠানো হলে জওয়ানেরা সীমান্তের পাশে একটি চা বাগানের ভেতরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন জওয়ান কেদারনাথ হাঁসদাকে। তাঁর গলার উপরে থুতনির নীচে তিনটে গুলির চিহ্ন মিলেছে। মৃত বিএসএফ জওয়ান কেদারনাথ হাঁসদার পাশেই ওয়াকিটকি, টর্চ লাইট এবং তাঁর বুকের উপর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল উদ্ধার করে বিএসএফ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিএসএফের উর্দ্ধতন কর্তারা। খবর দেওয়া হয় চোপড়া থানার পুলিশকেও।
advertisement
পুলিশ ও বিএসএফ কর্তাদের প্রাথমিক অনুমান নিজের স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মৃত বিএসএফ জওয়ান কেদারনাথ হাঁসদা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ ও চোপড়া থানার পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার শচীন মক্কার জানিয়েছেন, চোপড়া থানায় একটি মামলা ঋজু করা হয়েছে। সয়ংক্রিয় রাইফেলটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল ঘটনা জানা যাবে।
