TRENDING:

Mizoram Bridge Collapse: বাবা নেই, মা অসুস্থ, বোনের বিয়ে দেওয়া হলনা! মিজোরামে ভাঙ্গা ব্রিজে চাপা মণিরুলের স্বপ্ন

Last Updated:

দেড় বছর আগে বাবা মারা গিয়েছেন। বাড়িতে অসুস্থ মা ও ছোট্ট বোনকে রেখে মাত্র দেড় মাস আগে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে মিজোরামে গিয়েছিল বছর আঠারোর মনিরুল নাদাপ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মালদহ: দেড় বছর আগে বাবা মারা গিয়েছেন। সংসারের হাল ধরতে মাত্র দেড় মাস আগে রোজগার শুরু করেছিল বছর আঠারোর মনিরুল নাদাপ। বাড়িতে অসুস্থ মা ও ছোট্ট বোনকে রেখে প্রতিবেশিদের সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে মিজোরামে পাড়ি দিয়েছিল। রোজগার করে মায়ের চিকিৎসা ও বোনের বিয়ের জন্য এখন থেকে টাকা জমানোর পরিকল্পনা নিয়েই কাজ শুরু। সংসারের ভার কাঁধে নিতে না নিতেই নির্মীয়মান ব্রিজ দূর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন মনিরুল। ছেলের এমন পরিণতি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মা ইতিয়া বেওয়া। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই ভেঙে পড়েছেন তিনি। কি করে কি হবে বুঝেই পাচ্ছেন না। পাড়া প্রতিবেশী থেকে আত্মীয় স্বজনদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন সন্তান হারা মাকে।
advertisement

মৃতের মা ইতিয়া বেওয়া বলেন, “আমাদের অভাবি সংসার। দেড় বছর আগে স্বামী মারা গিয়েছে। আমি অসুস্থ কোন কাজ করতে পারি না। আমার ছেলে প্রথম রোজগারের জন্য ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজে গিয়েছিল। শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালানো থেকে আমার চিকিৎসা, বোনের বিয়ের কথা চিন্তা ভাবনা শুরু করেছিল। কিন্তু দুর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেল। আমার পরিবারে কাজ করার কেউ রইল না।”

advertisement

আরও পড়ুন ঃ উচ্চমাধ্যমিকে ৪১০, স্বপ্নপূরণে মিজোরামে কাজে গিয়েই মৃত্যু মালদহের সাহিনের

মিজোরামে নির্মীয়মান রেল ব্রিজ ভাঙায় ক্ষতিগ্রস্ত মালদহ। মালদহের বিভিন্ন প্রান্তের পরিযায়ী শ্রমিকেরা এই দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে রতুয়ার কোকলামারি গ্রামের মনিরুল নাদাপ। গত প্রায় দেড় বছর আগে মনিরুলের বাবা মারা গিয়েছেন। বাবাও শ্রমিকের কাজ করে কোনক্রমে সংসার চালাতেন। বসত ভিটে পর্যন্ত নেই পরিবারের। সরকারি খাস জমির উপর চাটাইয়ের বাড়িতে বসবাস।

advertisement

View More

বাবার মৃত্যুর পর সংসারের ভার এসে পড়ে বছর আঠারোর মনিরুলের উপর। দুস্থ পরিবার তার উপর অসুস্থ মা এই নিয়ে চরম বিপাকে পড়ে মনিরুল। অবশেষে প্রতিবেশিরা তাঁকে শ্রমিকের কাজে নিয়ে যায়। প্রতিবেশি ফাজুলু নাদাপ বলেন, পরিবারটি খুব দুস্থ। বসবাস করার ভিটে পর্যন্ত নেই, সরকারি খাস জমিতে বসবাস করে কুঁড়ে ঘরে। ছেলেটির বাবাও মারা গিয়েছে। পাড়া প্রতিবেশীরাই তাকে এবার প্রথম কাজে নিয়ে গিয়েছিল।

advertisement

আরও পড়ুন ঃ মিজোরামের ব্রিজ ভেঙে মালদহের ২৪ জন শ্রমিক মৃত! নিখোঁজ ১০ জন! হাহাকার

দেড় মাস আগে পাড়ার পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে মিজোরামে পাড়ি দিয়েছিল। শ্রমিকের কাজ করে সংসার সামলে মায়ের চিকিৎসা থেকে বোনের বিয়ের চিন্তা ভাবনা ছিল। বর্তমানে বোন সারেফা খাতুন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। এখন থেকেই অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে বোনের বিয়ের চিন্তা ভাবনা শুরু করেছিল। অনেক স্বপ্ন নিয়েই পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু চিন্তা ভাবনা বাস্তব হওয়ার আগেই সব শেষ। বর্তমানে পরিবারে রোজগারের কেউ রইল না। কি করে মা মেয়ের পেট চলবে এই চিন্তায় এখন মা ইতিয়া বেওয়ার মনে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শীতের মরশুম এলেই গৃহবধূদের উপরি রোজগার! সংসার সামলে ছুটছেন মোয়ার দোকানে
আরও দেখুন

হরষিত সিংহ

Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Mizoram Bridge Collapse: বাবা নেই, মা অসুস্থ, বোনের বিয়ে দেওয়া হলনা! মিজোরামে ভাঙ্গা ব্রিজে চাপা মণিরুলের স্বপ্ন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল