লোহারপুল ইউনিটের পুজো এবারে ৭৪ তম বর্ষ। জেলাবাসী এক ডাকে চেনেন এই পুজোকে। জেলার অন্যতম বিগ বাজেটের পুজো এটি। তবে প্রতিবছর আলোকসজ্জা ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হলেও এবারে থিমের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে এই ক্লাব। পুজো মণ্ডপের বিভিন্ন স্থানে দেখা যাবে বই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাসগুলিকে বইয়ের আকারে সাজিয়ে মন্ডপ তৈরি করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন : এখানে দুর্গাপুজো নিয়ে মাতামাতি নেই, যত আয়োজন ‘এই’ পুজোয়! থিম দেখলে হাঁ হয়ে যাবেন
মণ্ডপের ভেতরে প্রবেশ করলে বইয়ের জগতে হারিয়ে যাওয়ার মন চাইবে। পাশাপাশি মনে পড়বে ছোট বেলার কথা। বর্তমানে জোর কদমে চলছে মন্ডপ তৈরির কাজ। শিল্পীরা শেষ তুলির টান দিচ্ছেন। দেখে নিচ্ছেন কোথাও কোনও খামতি থেকে গেল না তো। ক্লাবের পক্ষ থেকে সভাপতি দিবাকর পাল জানিয়েছেন, এই মণ্ডপে এলে ছোটবেলাতে ফিরতে হবে। বর্তমান প্রজন্মের শিশুরা আর বই পড়ে না। বাইরে খেলতে যায় না। তাঁরা এখানে বাবা, মায়ের প্রজন্মের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অপরদিকে পুজো মণ্ডপে প্রবেশের আগে দেখা যাবে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। যা চন্দননগরের শিল্পীরা তৈরি করছেন। এই পুজো দেখে দর্শনার্থীদের মন ভাল হবে বলে দাবি ক্লাব কর্তৃপক্ষের। মণ্ডপে ক্লাবের কর্মকর্তারা থাকবেন। থিমে তাঁরা বুঝিয়ে দেবেন এই প্রজন্মের শিশু, কিশোরদের।