প্রত্যেকেরই বাড়ি জলপাইগুড়ির খয়েরবাড়িতে। বিজেপির সাংসদ-বিধায়ককে মারধরের ঘটনায় ধৃত একরামুল হক তৃণমূল সমর্থক। তাঁর স্ত্রী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। একরামুলের পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলে মারধর করতে নয়, ঝামেলা থামাতে গিয়েছিল।
আইনুল হক, ধৃত একরামুলের বাবা বলছেন, ছেলে পিছনে ছিল। বারণ করছিল যেতে। ও তো পঞ্চায়েতের সদস্যের স্বামী। ও তো বাধা দেবেই। উল্টে পাথরের আঘাতে ওর চোট লেগে গিয়েছে। পুলিশ ওকেই ধরে নিয়ে গেল। ফিরদৌসি বেগম, ধৃত একরামুলের বৌদি বলেন, ও মারেনি। পাশে ছিল। অনেকে মেরেছে। পুলিশ তো অনেককে ধরছেও। একরামুলের বাড়ির কাছেই গোবিন্দ শর্মার বাড়ি। তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, গোবিন্দর মাথার ঠিক নেই।
advertisement
হরি শর্মা, ধৃত গোবিন্দ শর্মার দাদা বলছেন, পুলিশ ধরেছে। উঠিয়ে নিয়ে যাবে ভাবিনি। আমার ভাইয়ের দোষ কি? সেটাই আমরা জানিনা। বিরূপা শর্মা, ধৃত গোবিন্দ শর্মার আত্মীয় বলেন, নদীর চরে কাজের জন্য গিয়েছিল। মাথায় লেগেছে পাথর। মাথায় সমস্যা আছে। রাগে কী করেছে সে তো বলতে পারব না। খয়েরবাড়িতেই বাড়ি আরেক ধৃত শাহনুর আলমের। তাঁরও পরিবারের দাবি, সাংসদ-বিধায়ককে মারধরের সঙ্গে শাহনুরের নাকি কোনও সম্পর্ক নেই।
সইদুল হক, ধৃত শাহনুর আলমের বাবা বলছেন, ছেলে তৃণমূল করে। মারধর করেনি। দেখতে গিয়েছিল। আত্মীয়কে পৌঁছতে গিয়েছিল। সায়রা বানু, ধৃত শাহনুর আলমের মা বলেন, আত্মীয়কে আনতে গিয়েছে। মন্ত্রীকে দেখতে গিয়েছে। ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে। পুলিশ বলছে মেরেছে। ধৃত তোফায়েল হোসেনের পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। সালমা খাতুন, ধৃত তোফায়েল হোসেনের আত্মীয় বলেন, লোককে বাঁচাতে গিয়েছিল। ওদিকেই সবজির ব্যাবসা করে। দেখাতে পারবে না, গিয়েছিল। বাইরে থেকে লোক এসেছে। একে ফাঁসানো হয়েছে।