জানা গিয়েছে ৫ অক্টোবর প্রবল বন্যায় কার্শিয়ং বন দফতরের অধিনে মেচি নদীতে ভেসে যায় হস্তি শাবকটি। তারাবাড়ি এলাকায় হস্তি শাবকটি দলছুট হয়ে যায়। পরে ভেসে মনিরাম এলাকায় ভেসে চলে আসে হস্তি শাবকটি। সেখানেই ভারত ও নেপালের বাসিন্দারা যৌথভাবে হস্তি শাবকটিকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন : কালীপুজোর আগে বড় ধাক্কা! আলোর উৎসবে আতসবাজির টানাটানি! চাহিদা মিটিয়ে পকেট ভরছে ‘ওঁদের’
advertisement
পরে কার্শিয়ং ফরেস্টের পানিঘাট্টা রেঞ্জের কলাবাড়ি বিটে হস্তি শাবকটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ১৫ দিন বয়সের বাচ্চা হাতিকে আর ফিরিয়ে নেয়নি হাতির পাল। ফিরিয়ে নেয়নি মা হাতিও। পরে এদিক-ওদিক ঘুরতে থাকে মা হারা হাতির শাবকটি। শাবক হাতির শরীরে মানুষের ছোঁয়া লাগলে অনেক সময় হাতির পাল তাকে আর ফিরিয়ে নেয় না। সেই কারণেই তাকে হাতির পাল আর ফিরিয়ে নেয়নি বলে মত বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন : কথায় বলে না ‘আশায় বাঁচে চাষা’! কিন্তু এবার সেটাও নেই, অভিমানে নবান্ন উৎসব বাতিল করল এই গ্রাম
কিন্তু হাতির শাবকের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ফের হাতির শাবকটিকে উদ্ধার করে জলদাপাড়ার পিলখানায় পাঠালো বন দফতর। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও পারভীন কাশোয়ান জানিয়েছেন, হাতির শাবকটি বিশেষজ্ঞদের তত্বাবধানে ভাল আছে জলদাপাড়ায়। তবে হস্তি শাবকের মা হারানোর এই ঘটনায় চোখে জল আসছে অনেকের।