আরও পড়ুন: ঠান্ডার মধ্যেই দানা বাঁধছে ‘মেঘ’! বঙ্গে বরফ, আগামী সপ্তাহেই ‘বড় বদল’ আবহাওয়ার!
বিশ্বদীপ নাগ কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গার বাসিন্দা। চাকরি সূত্রে শিলিগুড়িতে থাকছেন দীর্ঘ ১২ বছর ধরে। বর্তমানে তিনি চোপড়া হাইস্কুলের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক। ১১ বছর ধরে চাকরি করছেন । কোনোদিনও ভাবেননি তিনি সাইক্লিং করেবন। শরীর সুস্থ রাখতে সাইকেল চালানো শুরু করেন কোভিডের সময় থেকে। ডায়াবেটিস, প্রেশার,অ্যানকাইলজিন স্পন্ডিলাইসিস থেকে শুরু করে নানা রোগে আক্রান্ত ছিল বিশ্বদীপ। যাতে শরীর সুস্থ এবং স্বাভাবিক হয়ে ওঠে সেই উদ্দেশ্যেই সাইকেল চালানো শুরু করেছিলেন। সেটাই এখন তার ফেভারিট স্পোর্টস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মরণোত্তর দেহ-দান পত্রে স্বাক্ষর করার দিনেই খুন মালদহের তৃণমূল নেতা! ভয়াবহ
তারপর ২০২২ পুনে থেকে গোয়া ডেকান ক্লিং হ্যাঙ্গার রেস অংশগ্রহণ করেন। সময় নিয়েছেন ৩২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এরপর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দিঘা থেকে ঘুম ৮৩০ কিমি রেস ৪৯ ঘন্টায় সম্পন্ন করেন। এরপর ২০২৪ লাদাখ হিমালয়ান আল্ট্রা ৬০০ কিমি আগষ্ট মাসে ৪৪ ঘণ্টা শেষ করে প্রথম হন। অবশেষে ডিউন্স আল্ট্রা ১৩৫০ কিমি রেসে প্রথম হয়েছেন তিনি। বিশ্বদীপ জানান, ‘স্পোর্টস আমার শরীরের সমস্ত রোগব্যাধি দূর করে দিয়েছে। আমি বিগত এক বছর ধরে কোন ওষুধ খাচ্ছি না। শরীর যেমন সুস্থ থাকছে তেমন আমি এই রেসটিকে প্রচন্ড ভালোবাসি। আগামীতে আমেরিকায় বিশ্বের সবথেকে বড় সাইকেল রেসে অংশগ্রহণ করার কথা ভাবছি।’ বিশ্বদ্বীপের এমন কীর্তি আগামীতে নতুন প্রজন্মের সাইক্লিস্টদের নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
অনির্বাণ রায়