নতুন জেলা কমিটি গঠন নিয়ে অন্দরেই অসন্তোষ চলছিলই। রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের সামনেই তুমুল তর্ক বিতর্ক হয়েছিল। গত ২৬ মে ছিল বৈঠক। ওই দিনই জেলা কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয় অশোক ভট্টাচার্য, মুকুল সেনগুপ্তদের। নেওয়া হয় শচীন খাতিকে। রেখে দেওয়া হয় দিলীপ সিংকে। এ নিয়েই দলে চকে বিরোধ। এর আগে প্রাক্তন কাউন্সিলর মুকুল সেনগুপ্ত অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন গত ২৬ মে।
advertisement
আরও পড়ুন: কালচিনিতে জাতীয় সড়কে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, দুমড়ে-মুচড়ে দলা পাকিয়ে গেল ৬ গাড়ি
আজ দলের সদস্য পদ থেজে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি দিলেন পার্থ মৈত্র, জ্যোতি দে সরকার, উজ্জ্বল ঘোষ, বিপুল ঘোষ, বিজয় চৌধুরীরা। পার্থ মৈত্রের অভিযোগ, প্রথম সারির নেতাদের জন্য দল আজ বামপন্থা হারাচ্ছে। জেলায় একের পর এক নির্বাচনে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে। শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত দলের সিদ্ধান্ত বলে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পার্থবাবুর আরও অভিযোগ, দলের বৈঠকে মুখ খুলতে দেওয়া হয় না। শীর্ষ নেতাদের 'ইয়েস ম্যান' হয়ে থাকতে হয় দলে। যা কমিউনিস্ট দলে ছিল না। ক্রমেই দল জেলায় ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ছে। বেশি বয়সের কারণ দেখিয়ে কোনও কোনও নেতাকে জেলা কমিটি থেকে বাইরে রাখা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদ দলের বৈঠকে জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। তাই আজ অব্যাহতি বা বহিষ্কার করার আর্জি জানিয়ে আজ জেলা সম্পাদকের কাছে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: হু হু করে করোনা ছড়াচ্ছে! শিলিগুড়িতে আক্রান্তের সংখ্যায় উদ্বেগ, কড়া কোভিড বিধি সিকিমে
সূত্রের খবর, সিপিএম ছেড়ে এই পাঁচ নেতা বামেদেরই সঙ্গী সিপিআইতে যোগ দিচ্ছেন। বামপন্থী রাজনীতিতেই থাকবেন। সাফ জানান পার্থ মৈত্ররা। তবে এ নিয়ে সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। প্রবীণ নেতা অশোক ভট্টাচার্য এ নিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে যান। জেলা সম্পাদক সমন পাঠক মন্তব্য করতে চাননি।
এর আগে যুব নেতা শঙ্কর ঘোষ একই কারণে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং অশোক ভট্টাচার্যকে হারিয়েই বিধায়ক হয়েছেন। এবারে এই পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে সিপিএম কী পদক্ষেপ নেয়, তা লক্ষ্যণীয়।
