আরও পড়ুন: বাঁশের টিফিন বক্স এখন ইন, ওতেই নিয়ে যান খাবার… ভুলেও প্লাস্টিকের নয়
বয়স ১০০ বছর। বয়সের ভারে শরীর জর্জরিত।হাঁটাচলা করতে পারেন না। কথা বলেন অল্প বিস্তর।কিন্তু আজও বিষহরি পালাগান গাইতে পারেন সাবলীলভাবে। কান্দুরি বর্মণের জীবনের সঙ্গে বিষহরি পালাগান জড়িয়ে গিয়েছে প্রথম থেকেই। সম্প্রতি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তবে বর্তমানে সুস্থ হচ্ছেন শতবর্ষ পেরোনো লোকশিল্পী কান্দুরি বর্মন। কিছুটা সুস্থ হতেই তিনি প্রতি মুহূর্তে গেয়ে চলেছেন রাজবংশী ভাষায় বিষহরি গান।
advertisement
এই প্রবীণ শিল্পীর বাড়ি আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের কালীপুর গ্রামে। বেশ ক’দিন আগে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শয্যাশায়ী অবস্থায় ছিলেন। খেতে পারছিলেন না। কথাও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এমন একজন লোকশিল্পীর কেউ খোঁজ করেনি বলে অভিযোগ পরিবারের। শিল্পীর ছেলে সুকারু বর্মণ জানান, জেলার একটি কোণে থাকি বলেই বঞ্চিত থাকলাম। মা কখনই বৈভব, ঐশ্বর্যের কামনা করেননি। শুধু ভালোবেসেছিলেন গানকেই।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
রাজবংশী ভাষায় বিষহরি পালাগান কান্দুরিদেবী প্রথম গেয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার শ্রোতারা মুখিয়ে থাকতেন তাঁর গান শোনার জন্য।কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসের কারণে হয়ত কান্দুরি দেবীর খোঁজ কেউ করতে আসতেন না। কেন্দ্র ও রাজ্যের তরফে কোনও সম্মান কখনই চাননি কান্দুরি দেবী। শুধু চেয়েছেন একটু খোঁজ রাখুক সবাই। খুব করে চান রাজবংশী ভাষায় বিষহরি পালা গাইবার জন্য নতুন প্রজন্ম উঠে আসুক।
অনন্যা দে





