আরও পড়ুন: সংসার সামলে যা করেন এই বধূ, জানলে অবাক হবেনই
এই স্থলবন্দর দিয়ে বছরখানেক আগে পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৩০০ লরি বাংলাদেশে পণ্য রফতানি করত। কিন্তু গত এক বছরে পরিস্থিতি বদলেছে। গড়ে মাত্র ৩০-৩৫ টি গাড়ি প্রতিদিন ওপারে পণ্য রফতানি করতে যায়, যা খুবই নগণ্য বলে দাবি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের।
advertisement
একটা সময় শুধুমাত্র হিলি সিন্ডিকেটে দু’হাজারেরও বেশি পণ্যবাহী ট্রাক ছিল। এই ট্রাক চালক ও তাঁদের সাহায্যকারী মিলিয়ে অন্ততপক্ষে চার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হত। গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা। হিলি ব্লক থেকে প্রায় প্রতিদিনই পরিযায়ী শ্রমিকের কাজের জন্য মানুষ পাড়ি দিচ্ছেন ভিন রাজ্যে। গাড়ি পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত যুবকদের সংখ্যা পরিযায়ী শ্রমিকের থেকে বেশি বলে দাবি করছেন পরিবহণ ব্যবসায়ীরা।
ত্রিমোহিনী থেকে হিলি পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তাতে কয়েকশো পণ্যবাহী ট্রাক ভাঙাচোরা অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। যা দেখলে স্পষ্টতই বোঝা যায় এই বিপুল সংখ্যক গাড়ি দীর্ঘদিন ব্যবহার হয়নি। গাড়ির মালিকদের দাবি, ১০-১২ লাখ টাকা দিয়ে গাড়ি কিনে তা মাত্র তিন-চার লাখ টাকায় ভাঙড়ি গাড়ির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে গাড়ির ব্যবসা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তবে কী কারনে বিপুল সংখ্যক গাড়ি বন্ধ হয়ে গেল তার তত্ত্ব তলাশ করতে গিয়ে গাড়ি মালিকরা জানান, সরকারি নতুন নিয়ম অনুযায়ী আগে থেকে পরিবহণের জন্য স্লট বুকিং করে পন্য পরিবহনের নতুন নিয়ম নিয়ে আসা হয়েছে। যার ফলে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার আগেই ১০ হাজার টাকা স্পট বুকিং করতে হচ্ছে। এর ফলেই লাভের হার কমেছে। অন্যদিকে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নানা বিধি-নিষেধ ব্যবসাকে নষ্ট করেছে বলে দাবি গাড়ি ব্যবসায়ীদের। তবে, কবে আবারও সঠিকভাবে পণ্য পরিবহন করে হাল ফিরবে হিলির তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সুস্মিতা গোস্বামী