আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোর নীল আকাশ ছেয়ে যাবে ভালবাসার ঘুড়িতে!
গ্রামীণ এলাকাগুলির উন্নয়ন নিয়ে সংশয়। মালদহে গঙ্গা ভাঙন বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়াও গ্রামীণ এলাকায় রাস্তা, পানীয় জল এই সমস্ত কিছুর এখনও সমস্যা রয়েছে। জেলার প্রত্যন্ত একাধিক এলাকায় এখনও তৈরি হয়নি পাকা রাস্তা। এমনকি নেই পানীয় জলের সুব্যবস্থা। এইদিকে চলতি আর্থিক বছরে বাজেট কম ধরা হয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো ভাবাচ্ছে জেলার গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মালদহ জেলা পরিষদের বাজেট ছিল ৩০২ কোটি ১৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩১৪ টাকা। সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সেই বাজেট কমে দাঁড়িয়েছে ১৯১ কোটি ৬৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩১৪ টাকায়। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে ১০০ কোটি টাকারও বেশি বাজেট কমে গিয়েছে।
advertisement
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল এই কমে যাওয়া বাজেট সমর্থন করেছেন মালদহ জেলা পরিষদের বিরোধী সদস্যরাও। এরফলে উন্নয়ন কতটুকু হবে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। যদিও জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার সার্বিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল ও গ্রামীণ রাস্তা তৈরির বিষয়ে জোর দিয়েই এবারের বাজেট পেশ করা হয়েছে। বাজেট কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ জানান, গত আর্থিক বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বহু প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেওয়াই অনেক কাজ করা সম্ভব হয়নি। তাই চলতি আর্থিক বছরের বাজেটে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রকল্পগুলি বাদ দিয়ে বাজেট করা হয়েছে। তার জন্যই এবারের বাজেটে টাকার অঙ্ক কমে গিয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এদিকে বাজেট পেশে সম্মতি দিলেও বাজেটের অর্থ আরও বেশি হওয়া উচিত ছিল বলে দাবি করেন জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা আব্দুল হান্নান।বাজেট পেশে উপস্থিত ছিলেন সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ, সহকারী সভাপতি এটিএম রফিকুল হোসেন, মালদহ জেলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) জামিল ফতেমা জেবা সহ অন্যান্য জেলা পরিষদের সদস্য, জনপ্রতিনিধিরা।উপস্থিত সকল সদস্যরাই এদিন হাত তুলে বাজেটকে সমর্থন করেন।
হরষিত সিংহ





