আরও পড়ুন: ট্রলির সঙ্গে অসম লড়াইয়ে টিনের ট্রাঙ্ক
দেশের অন্যতম ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এই নুনিয়া চাল। দীর্ঘ কাল ধরেই এই ধানের চাষ করে আসছেন রাজাভাতখাওয়া সহ আলিপুরদুয়ারের প্রান্তিক এলাকার কৃষকরা। তুলাই পাঞ্জি কিংবা তুলসী ভোগ, বাসমতি অথবা গোবিন্দ ভোগ এই সব নামিদামি চালের থেকে ডুয়ার্সের এই কালো নুনিয়া চাল কোনও অংশে কম নয়। এটা যে কোনও ভোজনরসি’ই জানেন।
advertisement
ডুয়ার্সে দীর্ঘদিন ধরে এই ধানের চাষ হয়ে এলেও এক সময় তা ক্রমশ কমতে থাকে। কৃষকরা নুনিয়া চালের ভাল দাম পাচ্ছিলেন না। তবুও কিছু কৃষক এই ঐতিহ্যবাহী ধানের চাষ বন্ধ করেননি। তাঁদের দৌলতেই শেষ পর্যন্ত জিআই ট্যাগ পায় এই কালো চাল। এরপরই বাজারে এর চাহিদা ও গুরুত্ব বুঝে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন এই ধানের চাষে জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে নুনিয়া চালের চাষ ক্রমশ বাড়ছে। কৃষকদের মতে প্রশাসনের সঠিক সহায়তা পেলে এই ধানের চাষ আরও বাড়বে। এলাকার ২০ জন চাষি বর্তমানে এই ধান চাষ করেন। তাঁদের আশা, সরকারি সহায়তা পেলে আরও অনেকে এই দিকে এগিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, রাজ আমলে উত্তরবঙ্গের মাত্রা কয়েকটি জেলায় এই ধানের চাষ করতেন এলাকার কৃষকরা। সেই সময় কোচবিহারের রাজা নরেন্দ্র নারায়ণ সহ রাজ পরিবারের বংশধররা এই ধানের চাল খেতে পছন্দ করতেন। এছাড়াও জমিদাররাও এই চালের ভাত খেতেন। ফলে সেই আমলে এই ধান চাষ করে সেই চল বিক্রি করে নিজেদের সংসার চালাতেন কৃষকরা। সেই কারণে চাষিরা সেই সময় ১৫ থেকে ২০ বিঘা জমিতে এই ধানের চাষ করতেন। বর্তমান উদ্যোগ প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা জানান, জেলা প্রশাসনের তরফে রাজাভাতখাওয়া ও সংলগ্ন এলাকা যেখানে এই ধানের চাষ হয় সেখানকার কৃষকদের নিয়ে সচেতনতা শিবির করা হবে। তাঁদের এই ধান চাষে আরও উদ্বুদ্ধ করা হবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
জমিতে অন্যান্য ধান চাষ করে বিঘে প্রতি ২০ থেকে ২৫ কুইন্টাল ধান পাওয়া যায়। সেই তুলনায় কালো নুনিয়া ধান মেলে মাত্র ৫ থেকে ৬ কুইন্টাল। তবে এর চাহিদা আছে যথেষ্ট। তাই ভাল দাম পেলে এই ধান চাষ করেও লাভের মুখ দেখবেন কৃষকরা। সুগন্ধি এই ধানের চাষ বৃদ্ধি পাক চাইছে জেলা প্রশাসন।
অনন্যা দে