ত্রিপুরা থেকে আনা ওই সিংহ দম্পতির নামবদল নিয়ে এডিশনাল এডভোকেট জেনারেল জয়জিৎ চৌধুরী বলেন, “ত্রিপুরা থেকে আনা ওই সিংহ দম্পতির নাম নিয়ে সার্কিট বেঞ্চে যে মামলা ছিল তার নিষ্পত্তি করা হয়েছে। অভিযোগ ছিল, যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বন দফতর নাকি ওই সিংহ দম্পতির নামকরণ করেছে। আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি যে ত্রিপুরার সরকার ও সংশ্লিষ্ট চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ওই সিংহ দম্পতির নামকরণ করেছিল। তাতে আমাদের কোন ভূমিকা নেই। যে মুহুর্তে এরাজ্যের সরকারের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছে, তখনই কোনও বিতর্কিত নাম যাতে না থাকে তার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। সেইমতো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি পাঠানো হয়। সেইমতো নামকরণ করা হয়েছে।”
advertisement
আরও পড়ুুন: এক কামড়েই ‘ছবি’! বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত গাছ, বিষক্রিয়ায় হার মানবে অনেক সাপও
প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরার বিশালগড়ে অবস্থিত সিপাহিজালা জুওলজিকাল পার্ক থেকে রাজ্যের বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে আসা হয়েছিল সিংহ দম্পতি আকবর ও সীতাকে। ২০২৩ সাল থেকে অ্যানিমেল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের কর্মসূচি গৃহীত হলে ত্রিপুরা থেকে একজোড়া সিংহ আনার অনুমোদন মেলে কেন্দ্রীয় জু অথরিটির তরফে।
আরও পড়ুন: নাক দিয়ে নয়, সাপ শরীরের কোন অঙ্গ নিয়ে গন্ধ পায় জানেন?
সব যাচাই করে দেখা যায় প্রাণী বিনিময়ের দিক দিয়ে আকবর ও সীতাই সবথেকে ভালো দম্পতি। সেই অনুমোদন মতো চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা থেকে সড়কপথে বেঙ্গল সাফারিতে পৌঁছয় ওই সিংহ দম্পতি। আকবর ও সীতা নামে সিংহ সাফারিতে পৌঁছনোর পরই নাম নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এক অরাজনৈতিক সংগঠনের তরফে এরাজ্যের সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। এরপরই মামলায় রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়েদেন এডিশনাল এডভোকেট জেনারেল জয়জিৎ চৌধুরী। শুনানির পর জুলাই মাসে মামলার নিষ্পত্তি হয়। এই বিষয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, “আমরা আগেই জানিয়েছিলাম এতে বিতর্কের কিছু ছিল না। কারণ ওই সিংহদের নাম আমাদের রাখাই ছিল না। ওটা ত্রিপুরা সরকারের দেওয়া। আদালতে তা প্রমাণ হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী সিংহ দম্পতির নামকরণ করেছেন সুরজ ও তনয়া।”