আরও পড়ুন: বরফের চাদরে সান্দাকফু-ফালুট, আটক বহু পর্যটক! দেখুন আজকের টাটকা ছবি...
পোস্টারে লেখা '৩৭ নং ওয়ার্ডে স্থানীয় বাসিন্দাকে প্রার্থী হিসেবে চাই।' সৌজন্যে '৩৭ নং ওয়ার্ডের নাগরিক বৃন্দ'। ওয়ার্ডজুড়ে ছয়লাপ পোস্টারে পোস্টারে। কাদের পোস্টার? কোন রাজনৈতিক দলের? এনিয়েই শুরু রাজনৈতিক জল্পনা। তৃণমূল না বিজেপির? শুরু দুই শিবিরের (Bengal Civic Polls) বাকবিতণ্ডা। একে অপরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে দুই শিবির। বিজেপির দাবি, এটা তৃণমূলেরই কাজ। ওদের দলেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আজ প্রকাশ্যে। প্রার্থীপদ নিয়ে যত কাণ্ড সব তৃণমূলেরই।
advertisement
স্থানীয় বিজেপি নেতা তুফান সাহার অভিযোগ, "এবারে ৩৭ নং ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে দু'জনের নাম। যারা অন্য ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর (Bengal Civic Polls) এবারে অন্য ওয়ার্ড থেকে লড়বেন। পরিবর্তে উঠে আসছে দুটি নাম। যারা কেউই এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা নন। তাই এই পোস্টারিং ওদেরই কাজ।"
কোন দুটি নাম উঠে আসছে? ৩৬ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর অলোক ভক্ত এবং ৩৮ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর দুলাল দত্তের স্ত্রী আলপনাদেবীর নাম উঠে এসেছে। আর তাই এই পোস্টারিং তৃণমূলেরই বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের (Bengal Civic Polls)। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৩৭ নং ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মা। তিনি পাল্টা বলেন, তৃণমূলের প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এর সঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের দলে প্রার্থী নিয়ে কোনও মতবিরোধও নেই। এটা বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বরই বহিঃপ্রকাশ। অহেতুক প্রচারে থাকবার জন্যেই এই পোস্টার সাঁটিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ তুষারপাতে সিকিমে আটক পর্যটকদের উদ্ধার করল সেনা জওয়ানরা, শুরু ফেরার পালা...
তবে পোস্টার যেই দলই লাগাক না কেন, তা নিয়ে নির্বাচনের আগেই সরগরম শিলিগুড়ির রাজনীতি। ২০১৫-তেও প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগে এই ৩৭ নং ওয়ার্ডেই রঞ্জন শীলশর্মাকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে দেওয়াল লিখন হয়েছিল।