কোচবিহারে তুফানগঞ্জ এলাকার বিশ্বনাথ রায় নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে এই ধারি তৈরি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ রায় জানান, এই ধারিগুলি তৈরি করতে খুব একটা বেশি খরচ হয় না। শুধুই কাঁচা বাঁশ কিনতে এবং শ্রমিকদের মজুরিতে যেটুকু খরচ হয়। তবে এই ধারি কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হয়। মধু এবং রেশম শিল্পে এই ধারির ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়। সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সময়ে এই ধরির প্রচুর পরিমাণে অর্ডার আসে তাঁর কাছে।
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্গম মনিরাং শৃঙ্গ অভিযানে জলপাইগুড়ির ৯ অভিযাত্রী
এই ধারি তৈরির দুই শ্রমিক বাদল শেখ ও মহম্মদ নুর ইসলাম জানান, কাটা বাঁশ ফাটিয়ে তার ফালা বের করে নিতে হয়। এবার সেই ফালাগুলিকে হাতের মাধ্যমে বুনতে হয়। তাহলেই তৈরি হয়ে যায় এই বিশেষ ধারি। দিনে সাধারণত পাঁচ থেকে ছয়টি ধারির বেশি তৈরি করা যায় না। মূলত ধারির মাপের উপর নির্ভর করে তা তৈরি করতে কতক্ষণ সময় লাগবে। অনেকে মালদহ থেকে কোচবিহারে এসে এই ধারি তৈরির কাজ করেন।
সার্থক পণ্ডিত





