এখানকার এই রাধা কৃষ্ণের মন্দিরটি অনেকটা জায়গা জুড়ে বিস্তীর্ণ। প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে ও কিছু সময়ের জন্য শান্তি খুঁজে পেতে নিস্তব্ধ এই পরিবেশে ঘুরে আসতে পারেন। এখানে এলে একসঙ্গে দেখতে পারবেন সবুজ প্রকৃতি, পাখি, লেক, রাধা কৃষ্ণ সহ বিভিন্ন ভগবানের মন্দির।
advertisement
আরও পড়ুন- ভুলেও ছোঁবেন না ‘মটরশুঁটি’, যদি থাকে ৬ রোগ…! আপনার ‘চিরশত্রু’ এই সবুজ সবজি, কেন জানেন?
পিকনিক কিংবা ডে আউটের জন্য আপনি নিশ্চিন্তে বেছে নিতে পারেন এই মন্দির প্রাঙ্গন। তবে এই মন্দির প্রাঙ্গনে এলে অবশ্যই আপনাকে নিরামিষভোজন করতে হবে। মন্দিরের পাশেই রয়েছে ক্যান্টিন যেখানে আপনার পছন্দমত চা ,কফি কিংবা স্ন্যাকস পেয়ে যাবেন।
এর সঙ্গে মন্দিরে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাও রয়েছে। মাত্র ৬০ টাকা দিয়েই এই মন্দিরে আপনি পেয়ে যাবেন সরা ভোগ । মাটির সরাতে বিভিন্ন ধরনের প্রসাদ খেয়ে সারাদিন কাটিয়ে ঘুরে আসতে পারেন এই কালিকুন্ডা থেকে।
১৫০ একর জমির উপর অবস্থিত এই মন্দিরটি। মাটির রাস্তা ও চারদিকের সবুজ অরণ্য দেখে আপনার মন প্রশান্তিতে ভরে উঠবে। মন্দিরের পাশেই রয়েছে ধামজা ফরেস্ট। বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখতে চাইলে সেই ফরেস্ট থেকেও ঘুরে আসতে পারবেন। তবে এই শীতে এই মন্দিরে এলে মন্দিরের পাশে দেখতে পারবেন সবুজ সরিষা ক্ষেত। সবুজ অরণ্যে পাখির কিচিরমিচির শুনতে বেশ ভালই লাগবে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এই মন্দিরের চারপাশে আছে বসার বেঞ্চ। ক্লান্ত হয়ে পড়লে বসে বিশ্রাম নিতে পারবেন। মন্দিরের পাশে রয়েছে খুব সুন্দর একটি পুকুর। এই পুকুরে রয়েছে রাধা কৃষ্ণের খুব সুন্দর একটি মূর্তিও। শহর থেকে দূরে প্রকৃতির মাঝে দু’দণ্ড বসে সময় কাটাতে চাইলে আপনাকে চলে আসতে হবে কালিয়াগঞ্জ থেকে দূরে ধনকোলে মোড়ের পাশে অবস্থিত কালিকুন্ডা থেকে।
পিয়া গুপ্তা