বেয়ে বেয়ে উঠে যায় সোজা ঘিলুতে! জানেন, কোন '৬ সবজি' ফিতাকৃমির আঁতুড়ঘর? ভয়ানক রোগ এড়াতে কী ভাবে খাবেন জানুন!
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
Tapeworm in vegetables: আপনি কি জানেন, কিছু সবজির মধ্যেই বাসা বাঁধে ফিতাকৃমি। যা থেকে হতে পারে ভয়ানক ব্যাধি! কোন কোন সবজি রয়েছে এই তালিকায়?
advertisement
advertisement
advertisement
কচু পাতার মধ্যে ফিতাকৃমির ডিম লুকিয়ে থাকতে পারে, যা শরীরে প্রবেশ করলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে মান কচু ও কচুর লতি রান্নার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া জরুরি। কারণ ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে এই পরজীবী শরীরে প্রবেশ করে পেটের সমস্যা, বমি এমনকি মস্তিষ্কের গুরুতর অসুখও সৃষ্টি করতে পারে। তাই কচু পাতার যেকোনো পদ খাওয়ার আগে সতর্ক থাকুন এবং রান্নার আগে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
advertisement
বেগুনের বীজে ফিতাকৃমির ডিম লুকিয়ে থাকতে পারে, যা শরীরে প্রবেশ করলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই রান্নার আগে বেগুন ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে কাঁচা অবস্থায় বেগুন কাটা হলে বীজের ভেতর লুকিয়ে থাকা পরজীবী সহজেই ছড়িয়ে যেতে পারে। বেগুন ভালোভাবে ধোয়া ও রান্না না করলে এটি পেটে প্রবেশ করে মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই বেগুন কাটার আগে ও রান্নার সময় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন।
advertisement
কুঁন্দরীর ভেতরেও ফিতাকৃমির ডিম লুকিয়ে থাকতে পারে, যা সঠিকভাবে না ধুলে শরীরে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। বিশেষ করে বড় ও হলদে কুঁন্দরী খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া জরুরি। কাঁচা বা ঠিকমতো রান্না না করা কুঁন্দরী খেলে পেটের সমস্যা, বমি, এমনকি স্নায়ুর জটিলতাও দেখা দিতে পারে। তাই এই সবজি খাওয়ার আগে পরিষ্কার করে ধোয়া এবং সঠিকভাবে রান্না করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
advertisement
ক্যাপসিকামের বীজ ও অভ্যন্তরীণ অংশে ফিতাকৃমির ডিম থাকতে পারে, যা সঠিকভাবে না ধুলে শরীরে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। রান্নার আগে ক্যাপসিকামের বীজ বের করে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া জরুরি। এছাড়া, এটি কাঁচা খাওয়ার পরিবর্তে সঠিকভাবে রান্না করাই নিরাপদ। সতর্কতা না নিলে পরজীবী সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়, যা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই প্রতিটি সবজি ভালোভাবে পরিষ্কার করে রান্না করাই সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি।
advertisement
পটলের বীজেও ফিতাকৃমির ডিম থাকতে পারে, যা শরীরে প্রবেশ করলে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে কৃত্রিম সার বা রাসায়নিক ব্যবহার করে উৎপাদিত পটল এড়িয়ে চলা উচিত। রান্নার আগে পটল ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া এবং বীজ ফেলে দেওয়া নিরাপদ। সতর্কতা না নিলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে, যা পেটের অসুখ, মাথা ব্যথা ও অন্যান্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তাই পটল খাওয়ার আগে সঠিকভাবে পরিষ্কার ও রান্না করা আবশ্যক।
advertisement
ফিতাকৃমি মস্তিষ্কে পৌঁছে গেলে সিস্টিসারকোসিস নামক ভয়ংকর রোগ হতে পারে। এতে তীব্র মাথাব্যথা, পেশির ফোলা ভাব, খিঁচুনি, এমনকি ব্রেন ড্যামেজও হতে পারে। সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হলে স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে, যা মৃত্যুর কারণও হতে পারে। এই কারণে কাঁচা বা অপরিষ্কার সবজি খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে ও রান্না করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
advertisement
advertisement