তবে বর্তমানে এই চিড়িয়াখানার দুই ময়না পাখিকে কেন্দ্র করেই আকর্ষণ বাড়ছে পর্যটকদের। দূর-দূরান্তের বহু পর্যটক এই দুই ময়না পাখিকে দেখতে ছুটে আসছেন এই চিড়িয়াখানায়। দুই ময়নার আকর্ষণে তুফানগঞ্জ ২ নং ব্লকের রসিকবিল মিনি জু-তে ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের।
আরও পড়ুন: শারীরিক মিলনের ঠিক আগে ও পরে কি প্রস্রাব করা উচিত? জানুন চিকিৎসকের মত! ‘এই’ ভুলেই নষ্ট কত পরিবার
advertisement
কোচবিহার ডিভিশনের ডিএফও আসিতাভ চট্টোপাধ্যায় জানান, “সম্প্রতি জেলা থেকে দুটি ময়না, তিনটি সান কুনুর-সহ তিন প্রজাতির ২৩টি টিয়া উদ্ধার করা হয়েছিল। পাখিগুলো সম্পূর্ণ সুস্থ থাকায় তাঁদের রসিকবিল মিনি জু-তে নিয়ে আসা হয়। তবে সকল পাখিগুলোর মধ্যে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র দুই ময়না পাখি। খুব বেশিদিন হয়নি ময়না পাখি দুটি এসেছে। তাঁদের নামও রাখা হয়নি। কয়েকদিনের মধ্যেই নাম রাখা হবে। কেউ তাঁদের নাম জিজ্ঞাসা করলে বলছে”।
আরও পড়ুন: ঘুমের সময় বিকট শব্দ করে নাক ডাকে সঙ্গী? মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে! বাঁচার উপায় জানুন
কখনও আবার বলছে ‘ও কাকু’। আবার কিছু সময় অন্য পাখিদের আওয়াজ নকল করছে। খাঁচার বেশি কাছে গেলে বলে উঠছে ‘গো ব্যাক’। আবার কিছু সময় খিদে পেলে বলছে ‘ভাত দাও’।”
পাখিকে দেখভালের দায়িত্বে থাকা বনকর্মীরা জানিয়েছেন, “খাবার দিতে খানিকটা দেরি হলেই বলছে “ভাত দাও”। খাঁচার বেশি কাছে গেলে বলে উঠছে “গো ব্যাক”। আবার সকাল-সন্ধ্যায় পর্যটক না থাকলে মনমরা হয়ে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে দু’জনকে। চিড়িয়াখানায় থাকা বাকি সমস্ত বন্যপ্রাণীর চাইতে এই দুই পাখি এখন বেশি প্রিয় হয়ে উঠেছে পর্যটকদের।”
পরিবেশ প্রেমী অর্ধেন্দু বণিক জানান, “এই পাখি গুলি মূলত প্রথম সিডিউলের অন্তর্ভুক্ত। ফলে এই পাখিগুলি সংরক্ষণ করা উচিত। তবে এই পাখিগুলির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা মানুষের আওয়াজ কিংবা অন্য যেকোনও প্রাণীর আওয়াজ খুব সহজেই নকল করতে পারে।”
জেলা কোচবিহারের রসিকবিল মিনি চিড়িয়াখানায় বর্তমান সময়ে এই দুই পাখির আকর্ষণে ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। পর্যটকেরা এসে পাখির খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে পাখির সঙ্গে গল্প করতে মত্ত হয়ে উঠছেন। অনেকে তো সেলফিও এবং ভিডিও তুলছেন পাখিদের কথা বলার।
Sarthak Pandit