শুরুটা মোটেই সুখের ছিল না শ্যামলীর, বাড়ির বৌ টোটো চালাবে, একথা শুনেই নাক সিটকেছিল অনেকেই। আবার কেউ কেউ আড়ালে-আবডালে অনেক অনেক অ-কথা, কু-কথাও শুনিয়েছে। কিন্তু কোনও কিছুকেই পাত্তা দেননি এই গ্রামীন গৃহবধূ। এখন প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির যাবতীয় কাজ, রান্না-খাওয়া সেরে শ্যামলী দাস টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন আশইর থেকে প্রায় কয়েক কিলোমিটার দূরত্বের প্যাসেঞ্জারের ভাড়া নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
advertisement
শ্যামলী দেবীর কথায়, “একেবারে শুরুর দিকে একটু সমস্যা হলেও এখন সব ঠিকঠাকই চলছে। স্বামী তেমনভাবে ভারী কাজ করতে না পারায় শুধুমাত্র কৃষিকাজের উপর নির্ভর করে সংসার চালানো সম্ভব না হয়ে উঠায় টোটো চালানোর কথা ভাবেন তিনি। এরপরেই যেমন ভাবনা অমনি কাজ। টোটো চালিয়ে সব মিলিয়ে প্রতিদিন মোটামুটি কয়েকশো টাকা রোজগার হয় তাঁর।”
সবকিছুই সমান দক্ষতায় সামলে জীবন যুদ্ধে অনেকখানি সফল টোটো চালক শ্যামলী দাস। টোটো চালানোর পাশাপাশি আশইর গ্রামের ভরসার জায়গা করে নিয়েছে শ্যামলী। কেননা শুধুমাত্র দিনের আলোতে নয় রাতের অন্ধকারেও গ্রামের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক আসে শ্যামলীর। পরিবারের সদস্য থেকে পাড়া প্রতিবেশী প্রত্যেকের কাছেই তিনি যেন এক অনন্য নজির গড়েছে। পরিবার সামলাতে শ্যামলী দেবীর এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জেলাবাসীর।





