স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে হিমঘরের একটা অংশ বসে যাচ্ছিল। প্রশাসনের তরফে হিমঘরটিকে বিপজ্জনক ঘোষণা করা হলেও ভেতরে থাকা অ্যামোনিয়া গ্যাস বন্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। ফলস্বরূপ দেওয়াল ধসে পড়ায় অ্যামোনিয়া গ্যাসের পাইপ লিক করে গ্যাসের গন্ধ আশপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। সেই গন্ধেই অসুস্থ হয়ে পড়েন নয়জন গ্রামবাসী।
advertisement
আরও পড়ুন: হঠাৎ বেলুড় মঠে রাজ্যপাল! যে কারণে গেলেন, শুনলে অবাক হয়ে যাবেন
এলাকায় আগে থেকেই দমকল বাহিনী, পুলিশ প্রশাসন, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা মোতায়ন ছিলেন। যাতে করে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। কারণ হিমঘরের আশেপাশে প্রচুর বসতবাড়ি রয়েছে। যদিও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার কারণে তাঁদের অনেক আগেই সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গরম থেকে রেহাই পেতে কী করবেন...? বাতলে দিলেন মমতা! গরীব শ্রমিকদের জন্য বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
হিমঘর ভেঙে পড়ার ঘটনায় ঝাঁঝাল গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করেন বলে সূত্রের খবর। গ্যাসের গন্ধে অসুস্থ হওয়া ৫ জন রোগীকে নিয়ে আসা হয় জলপাইগুড়িতে। এঁদের মধ্যে তিন জনকে ভর্তি করা হয়েছে জলপাইগুড়ি শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পাশাপাশি আরও দুই অসুস্থকে ভর্তি করা হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
জল্পেশ মেলার মাঠ গ্রাম এখন সম্পূর্ণ ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে পাশের একটি বিদ্যালয়ে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।