হাসপাতাল সূত্রে খবর, ১৮ জন চিকিৎসকদের অ্যানাস্থেসিস, প্রসূতি, মেডিসিন, ট্রপিকাল মেডিসিন, ইমারজেন্সি মেডিসিন, চক্ষু, নাক-কান-গলা, চর্ম, মাইক্রো বায়োলজি, প্যাথোলজি সহ অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসকরা রয়েছে। চিকিৎসকদের মধ্যে ফরেন্সিক বিভাগের চিকিৎসকের বিশেষ প্রয়োজন বালুরঘাটে। ওই চিকিৎসকের অভাবে রহস্যজনক এবং জটিল মৃত্যুর ক্ষেত্রে ময়নাতদন্ত করা যায় না। এবার ওই চিকিৎসক এসেছে। চর্ম রোগের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা ছিল। ওই বিভাগে মাত্র একজন চিকিৎসক থাকায় মাত্র দুই দিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা হত। তবে ওই বিভাগেও একজন চিকিৎসক নিয়োগ হওয়ার ফলে ছয়দিনই ওই বিভাগ খোলা হবে। অন্যান্য বিভাগেও চিকিৎসক সংকট মিটবে বলেই আশাবাদী হাসপাতাল।
advertisement
এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ জানান, “হাসপাতালে একসঙ্গে ১৮ জন চিকিৎসক কাজে যোগ দিয়েছে। ওই চিকিৎসকরা পারমানেন্ট নয়। দুই বছরের জন্য বন্ডের মাধ্যমে তারা পরিষেবা দিবে৷ তবে হাসপাতালে পরিষেবা আরও ভাল হবে। ফরেনসিক বিভাগে কেউ ছিল না, ওই বিভাগেও চিকিৎসক এসেছে। বাকি যেই বিভাগগুলিতে সংকট ছিল সেই বিভাগেও চিকিৎসক পদ পূরণ হতে চলেছে।”
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নেই মেডিকেল কলেজ। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালই একমাত্র ভরসা। এমনকি একসঙ্গে বহু নতুন নতুন পরিষেবা চালু রয়েছে। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীদের যেমন চাপ থাকে, তেমনই চিকিৎসকেরও ব্যাপক প্রয়োজন হয়। কিন্তু প্রায় শতাধিক চিকিৎসক এই হাসপাতালে থাকা প্রয়োজন। কিন্তু তার প্রায় ৫০ শতাংশ বা অর্ধেক চিকিৎসক দিয়ে এতদিন হাসপাতাল চলছিল। এবার এক ঝাঁক চিকিৎসক কাজে যোগ দিতেই খুশির হওয়া জেলায়।
সুস্মিতা গোস্বামী





